ছোট পরিসরে আবারও সংলাপ হতে পারে : কাদের
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2018/09/kader-20180906150958.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
গতকালের সংলাপে কিছু বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। চাইলে ছোট পরিসরে আবারও সংলাপ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর দরজা সবসময় খোলা বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটর সেন্টার উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সংলাপের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। অপজিশন কিভাবে রিঅ্যাক্ট করে এটা তাদের ব্যাপার। আমি তো মনে করি না এখানে ব্যর্থতার কিছু আছে। শুরুটা ভালো হয়েছে। তাদের ৭ দফার ৩টি বিষয়ে আমাদের কোনো বাধা-আপত্তি থাকবে না।
‘শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন এই বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। দীর্ঘদিনের লং গ্যাপ, ডিস্টেন্সকে রাতারাতি ট্রান্সফরমেশন সম্ভব না, ক্লোজ করাও সম্ভব না।’
কিন্তু গতকাল কিছু বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মামলা আছে, ক্রিমিনাল অফেন্স ছাড়া শুধু রাজনৈতিক কারণে তাদের বিরুদ্ধে যদি মামলা হয়, তাহলে তাদের আমার কাছে তালিকা পাঠাতে বলেছি। এই তালিকা অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, সংলাপ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত হবে। ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা চাইলে আবারও আলোচনা হতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তের ওপর শেখ হাসিনা ছেড়ে দিয়েছেন। তারা যদি চান তাহলে আমাদের জানাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন আমার দরজা খোলা।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে সেতু মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতুর ভিজিটরস সেন্টারের উদ্বোধন
এদিকে পদ্মা সেতুর ভিজিটরস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটরস সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
এ সময় পদ্মা সেতুর মূল অংশের ৭১ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
৯৩০০ বর্গফুটের ভিজিটরস সেন্টারের মাল্টিপারপাস হলের ক্যাপাসিটি ১২০ জন। ইনডোর ও আউটডোর ক্যাফের ক্যাপাসিটি ১০০ জন। এছাড়াও একটি ভিআইপি কক্ষ ও একটি সভাকক্ষ রয়েছে।
সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬০ ভাগ। সেতুর পিলারের নকশা নিয়ে যে সমস্যা ছিল গতকাল তা দূর হয়ে গেছে।
ভিজিটরস সেন্টার সম্পর্কে তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল বড় বড় প্রকল্পে একটি ভিজিটরস সেন্টার থাকে। কারণ বড় প্রকল্পে অনেক ভিজিটর আসে। এখান থেকে ভিজিটররা অনেক কিছু জানতে পারবে ও নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারবে।
সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মূল সেতুর ২৬২টি পাইলের মধ্যে ১৮২টি পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর দুই প্রান্তের ২টি ট্রান্জিশন পিয়ারের ৩২টি পিয়ারের সবগুলো পাইল শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ১২টি পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে এবং ২১টি পিয়ারের কাজ চলমান আছে।
মাওয়া সাইটে মোট ১৭টি ট্রাস এসেছে যার মধ্যে ৫টি স্থায়ীভাবে ও ১টি অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ৩৫৬টি ভায়াডাক্টের সবগুলো পাইল বসানো হয়েছে। জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টের ৪৭টি পিয়ারের ১৮টি শেষ হয়েছে এবং ২৯টি চলমান আছে। মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্টের ৪১টি পিয়ারের মধ্যে ৬টি শেষ হয়েছে এবং ৩৫টি চলমান আছে।
এদিকে নদী শাসনের মোট ৪৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। মোট ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে তিন কিলোমিটারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং বাকি আছে ১০ কিলোমিটার। অন্যদিকে সংযোগ সড়কের কাজ সব শেষ হয়েছে।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন