জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ফটকে তালা লাগিয়ে ছাত্রদলের অবরোধ
৭২ ঘণ্টা অবরোধের তৃতীয় দিনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুটি ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ফটক এবং ব্যাংকের ফটকে (চতুর্থ গেট) তালা লাগানো হয়েছে। এই ফটকে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের দুটি গেইটে তালা ও প্ল্যাকার্ড ঝুলানো হয়।
পরবর্তীতে সকাল সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে ফটকে লাগানো তালাগুলো ভেঙে ফেলে। এরপর ফটকগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
ফটকে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী এসে মিছিল করতে করতে দুটি ফটকে তালা লাগিয়ে মোটরসাইকেলে করে দ্রুত চলে যায়।
এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন সর্দার, জাফর আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, সমাজ সেবা সম্পাদক রবিন মিয়া শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর রহমান দুর্জয়সহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, এক দফা দাবি আদায় এবং বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ লীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে আমরা অবরোধ পালন করছি। অবরোধের তৃতীয় দিনে আমরা জবির বিভিন্ন গেইটে তালা ঝুলিয়েছি এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষার এই অবরোধ সফল করতে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছি। আমি মনে করি এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসন জনগণের স্বার্থ রক্ষার অবরোধকে সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখবে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, আওয়ামী লীগ ও দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির বিচার, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, দেশের বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করা ও এক দফা দাবি আদায়ের এ অবরোধ বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় জবিতে পালিত হবে না এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সে লক্ষ্যেই জবি ছাত্রদল আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গেটে তালা দিয়ে দেশের জনগণের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ পালনে উৎসাহিত করেছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কাজী ফারুক হোসেন বলেন, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টর স্যারের নির্দেশে ফটকের দুটি তালা ভেঙে ফেলেছি। কিন্তু যারা এটি করেছে খুবই জঘন্য একটি কাজ করেছে। আমরা বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন