‘জনস্বার্থে’ ভারত ৪ বছরে ৪০০ বার ইন্টারনেট বন্ধ করেছে
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা যখন বাতিল করা হয় তখন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছিল। সেটিই ছিল বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘকালীন ইন্টারনেট শাটডাউন। একাধিক ইন্টারনেট লকডাউন দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২১। শুধু গত এক মাসেই ভারত ৭টি ইন্টারনেট লকডাউন দেখেছে। তার মধ্যে ৫টিই হরিয়ানা ও দিল্লি বর্ডারে কৃষক প্রতিবাদের এলাকায়।
প্রতিবাদের স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা এভাবে বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিরোধীদলগুলো। দেশটিতে বিদেশ থেকেও এসেছে প্রতিবাদ। হরিয়ানার ঝাজির, সোনিপত ও পালওয়াল জেলায় সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট শাটডাউন হয়েছে।
তবে ভারতে অবশ্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নতুন ঘটনা নয়। গত চার বছরে প্রায় ৪০০ বার ইন্টারনেট শাটডাউন দেখেছে দেশটি। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা যখন বাতিল করা হয় তখন ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ৪ মার্চ পর্যন্ত এই পরিষেবা বন্ধ ছিল।
বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর তুলনায় ভারতে ইন্টারনেট সেবা অনেক ঘনঘন বন্ধ হয় বলে সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ফোর্বস। ভারতের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর এই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রেও ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে একাধিকবার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই শাটডাউন চলেছে একাধিক দিন।
ভারতে ২০১৭ সালে ২১ বার, ২০১৮ সালে ৫ বার, ২০১৯ সালে ৬ বার ৩ দিনের বেশি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে মোট ৭৯ বার, ২০১৮ সালে ১৩৪ বার, ২০১৯ সালে ১০৬ বার, ২০২০ সালে ৩৪ বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল দেশে।
ভারতীয় আইনেও ইন্টারনেট শাটডাউনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনের আইনে বলা হয়েছে, কোনো এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা যেতে পারে। জনগণের সুরক্ষার জন্য এই পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন