জন্মদিনে জয়কে নিয়ে অঝোরে কাঁদলেন অপু
‘আমার যত দুঃখ সবই আমার একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কেউ দায়ী নয়। ভুল যদি কিছু হয়ে থাকে সবই আমি করেছি। আবেগকে প্রশ্রয় দিলে মানুষকে ভুলের মাশুল গুনতে হয়। আমি তাই গুনছি। আমাকে অনেকেই বুঝতে পারে না। বিশেষ করে কাছের মানুষরা বড় বেশি দুঃখ দেয়। এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কোনো মানে হয় না। আমার জন্মদিনে বিধাতার কাছে একটিই শুধু প্রার্থনা, আমাকে তুলে নিন।’
জন্মদিনের প্রসঙ্গে এসব কথা বলতে বলতে অঝোরে কাঁদলেন অপু বিশ্বাস (অপু ইসলাম খান)।
অপু বলেন, ‘জন্মদিনে বিধাতার কাছে প্রার্থনা তিনি যেন সবাইকে সুখে-শান্তিতে রাখেন। আর আমার দর্শক-ভক্তদের বলব, আমার জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন। যেন আমার সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়, ভালো থাকতে পারি। নতুন দিনে নবরূপে পূর্ণোদ্যমে সৃষ্টিশীল পথে হেঁটে যেতে পারি এই প্রত্যাশা নিয়ে আগামী দিনের পথে এগুতে চাই। নতুন করে সবার ভালোবাসা পেতে চাই।’
ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাসের শুরুটা একটু অন্যরকমের। বগুড়ার মেয়ে তিনি। সেখানেই শৈশব-কৈশোরে নাচে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। একসময় সিদ্ধান্ত নেন লাক্স-চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায় নাম লেখাবেন। সে কারণে কিছু ছবি তোলেন। সেই ছবিই বগুড়ার আরেক কৃতী সন্তান অভিনেতা আহসানুল হক মিনুর হাত ধরে চলে যায় বিশিষ্ট নির্মাতা আমজাদ হোসেনের কাছে।
ছবি দেখেই এ নির্মাতার পছন্দ হয়ে যায় অপু বিশ্বাসকে। সে সূত্রে ‘কাল সকালে’ চলচ্চিত্রে শাবনূরের বান্ধবী এবং পরে সুুভাষ দত্তের ‘ও আমার ছেলে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন অপু বিশ্বাস। ‘কাল সকালে’ চলচ্চিত্রে অপুর অভিনয় দেখে ভালোলেগে যায় নির্মাতা এফ আই মানিকের।
সে সুবাদে অপু অভিনয় করেন এই পরিচালকের ‘কোটি টাকার কাবিন’ চলচ্চিত্রে। বিপরীতে শাকিব খান। মুক্তির পর এই চলচ্চিত্র দিয়েই রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান অপু বিশ্বাস। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শাকিব খান আর অপু বিশ্বাসই পরবর্তীতে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত জুটিতে পরিণত হন।
বহু দর্শকপ্রিয় এবং ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন এ জুটি। বাস্তব জীবনেও তারা জুটি। তাদের একমাত্র সন্তানের নাম আব্র্রাম খান জয়।
২৭ সেপ্টেম্বর ছিল জয়ের জন্মদিন। আর বুধবার (১১অক্টোবর) অপু বিশ্বাসের জন্মদিন। তবে এ দিনটি নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই তার।
অপু বলেন, ‘সত্যিই বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই জন্মদিন নিয়ে। ছেলেকে নিয়েই কাটবে সময়। তাকে নিয়ে দিনের কোনো একটি সময় আমি আমার আদরের সন্তান জয়কে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবো, মা ও ছেলে একসঙ্গে কোথাও সময় কাটাবো, খাওয়া দাওয়া করবো।
নিজের জন্মদিনে এর আগেও আমি তেমন কোনো সেলিব্রট করিনি। একবার শুধু পরিচালক সাফিউদ্দিন সাফি ভাই বিশেষভাবে আয়োজন করেছিলেন। আমি সবসময়ই মনে করি জন্মদিনে আমার ভক্ত-দর্শকের শুভেচ্ছা, ভালোবাসাই আমার জন্য অনেক বড় উপহার। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন ভালো থাকি, সুস্থ থাকি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন