জাজের ‘বেপরোয়া’ ছবির শুটিং বন্ধ করল পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ
‘বেপরোয়া’ নামের একটি ছবির শুটিং বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)।
এফডিসিতে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে ছবিটির শুটিং চলছিল।
ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বিদেশি শিল্পী ও টেকনিশিয়ান নিয়ে অবৈধভাবে এফডিসিতে কাজ করায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় এসবি ছবিটির শুটিং বন্ধ করে দেয়।
কিছুদিন আগে এ ছবির নাম নিয়েও বিতর্ক ওঠে। বেপরোয়া নামের একটি ছবি এম এ আউয়াল নামের একজন পরিচালককে অনুমোদন দেয় পরিচালক সমিতি।
চলচ্চিত্র পরিবার কর্তৃক নিষিদ্ধ থাকায় জাজ মাল্টিমিডিয়া পরিচালক সমিতির অনুমতির তোয়াক্কা না করে একই নামের ছবির শুটিং শুরু করে কলকাতার পরিচালক দেবজিত চন্দ ও টেকনিশিয়ানদের নিয়ে।
কাজ শুরু করলেও তাদের যাবতীয় অনুমোদন নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে এফডিসিতে এসবির সদস্যরা এসে ছবিটির শুটিং বন্ধ করে দেন এবং বিদেশি সবাইকে দেশত্যাগ করতে বলেন। কারণ তারা সবাই ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাজ করছিলেন।
কলকাতার টেকনিশিয়ানদের মধ্যে রয়েছেন- পরিচালক দেবজিত চন্দ, প্রধান সহকারী পরিচালক নাজিমুদ্দিন, সহকারী পরিচালক দেবাঞ্জন চন্দ, বনি রয় চৌধুরী, বিধান দেবনাথ, দেবব্রত দাস, ফাইট ডিরেক্টর রাজেশ কানন, কোরিওগ্রাফার রাজেশ কুমার যাদব, সহকারী কোরিওগ্রাফার সঞ্জয় কুমার বিমল ও অভিনেতা পিয়ান সরকার। অভিযোগ রয়েছে- তারা সবাই ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসে কাজ করছেন। নিয়মানুযায়ী কোনো দেশে কাজ করতে গেলে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ওয়ার্কিং ভিসায় যেতে হবে। কিন্তু জাজ মাল্টিমিডিয়া সেটি লঙ্ঘন করেছে।
যদিও এ ১০ বিদেশির কাজের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেয়া হয়েছে। কিন্তু বৈধভাবে কাজ করতে গেলে তথ্য মন্ত্রণালয় ছাড়া আরও ১১টি সংস্থার অনুমতি নিতে হয়।
সেগুলো হল- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, এফডিসি, আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রক অধিদফতর, কাস্টমস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড।
এসবির অভিযানকালে ওই ১০ ব্যক্তি কিংবা ‘বেপরোয়া’ ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসব সংস্থার অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাছাড়া ভ্রমণ ভিসায় এসে কীভাবে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে কাজ করার অনুমতি নিল এ প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সিইও আলিমুল্লাহ খোকন জানিয়েছেন, বিদেশি কলাকুশলীদের বাদ দিয়ে আমরা শুটিং চালিয়ে যাব। সিনেমায় কাজ করছেন বাংলাদেশি রওশন ও জলি।
জানা গেছে, বিদেশি পরিচালককে বাদ দিয়ে আজ থেকে বাংলাদেশের সীমান্তকে দিয়ে ছবিটির পরিচালনার কাজ চালিয়ে যাবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন