জাতিসংঘ সঠিক ভূমিকা রাখতে পারছে না : হেফাজত
জাতিসংঘের উচিত রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতা বন্ধে চাপ সৃষ্টি করে মিয়ানমারকে বাধ্য করা। কিন্তু জাতিসংঘ সেই ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।
শুক্রবার চট্টগ্রামের লালদিঘি মাঠে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে জাতিসংঘের দিকে। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য সেফ জোন ঘোষণা করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি পৃথিবীতে বিপন্ন জাতিতে পরিণত হবে।
আরকান মুসলমানদের ওপর গণহত্যা বন্ধ, মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ এবং নাগরিক অধিকার দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার দাবীতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আমীর মাওলানা শাহ আহমদ শফি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- নায়েবে আমীর মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, নুর হোসেন কাশেমী, আবদুল হামিদ, জুনায়েদ বাবুনগরী, সেলিম উল্লাহ আল্লামা হাফেজ তাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, আল্লামা লোকমান হাকিম, মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহি, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জুনাইদ আল হাবিব, আল্লামা ইসহাক নূর, মাওলানা আনাস মাদানি, মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা ইসহাক মেহরিয়া, মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গারা মজলুম, নির্যাতিত। মিয়ানমারের মুসলমানরা সন্ত্রাসী নয়। যারা মিয়ানমারের মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলবে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী।
নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেও আশ্রয় দেয়া মানবিক ও ইমানি দায়িত্ব। ১৯৭১ সালে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের হিন্দুরা আমাদের অনেক ভাই-বন্ধুদের আশ্রয় দিয়েছে।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হামলার সময় আমাদের অনেক ভাই-বন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা ভারতে আশ্রয় পেয়েছিল হিন্দুদের কাছে।
মানবিক কারণে হিন্দুরা যদি আশ্রয় দিতে পারে তবে আমরা মুসলমান ভাইদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিতে পারব না কেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন