জানেন, বাড়িতে থাকা এই জিনিসগুলোরও মেয়াদ শেষ হয়?
প্রতিদিন ব্যবহার করেন এই জিনিসগুলো। প্রতিদিনের ব্যবহৃত, ভীষণ চেনা এই দ্রব্যগুলি বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করে আসছেন।
আচ্ছা, কখনও মনে হয়েছে এই জিনিসগুলোর মেয়াদ ফুরাতে পারে?
কল্পনাও করতে পারবেন না, যে এইসব কিছুরই মেয়াদ ফুরায়। আপনার প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পরেই এদের ব্যবহার করা ঠিক নয়। ভাবছেন, মেয়াদ তো ফুরায় শুধু ওষুধ বা খাবারের। আর বাকি জিনিস পুরোনো হলে, নিজেরাই ফেলে দিই! তাই তো? কিন্তু না। এখানে যে জিনিসগুলোর কথা বলা হবে, তার সবকটাই আমরা বছরের পর বছর, মাসের পর মাস ব্যবহার করি! অথচ এই সব জিনিসই ফেলে দেওয়া উচিত মাস ছয়েক ব্যবহার করার পরেই। মজার ব্যাপার হল, কেনার সময়ও কোনও বিক্রেতা এই ব্যাপারে সতর্ক করেনা আপনাকে। কোথাও লেখাও থাকে না যে জিনিসগুলির মেয়াদ কবে ফুরোচ্ছে। ফলে মেয়াদ উত্তীর্ণ জিনিসই আপনি ব্যবহার করে যান।
১. তোয়ালে:
এটি আপনার নিত্যব্যবহারের জিনিস। জানেন কি ঠিক কতদিন ধরে একই তোয়ালে ব্যবহার করতে পারবেন আপনি, বা করা উচিত? এক থেকে তিন বছরের বেশি একই তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত নয়। ভেজা তোয়ালে ব্যকটেরিয়া তৈরি করে। যা সহজে তোয়ালে থেকে যায় না। এমনকী বার বার ধোওয়ার পরেও তা থেকে যায় তোয়ালের মধ্যে।
২. চপ্পল বা চটি স্যান্ডেল
বাড়িতে পরার চটির মেয়াদ ফুরোয় খুব তাড়াতাড়ি। জানেন সেটা? হ্যাঁ। ছয় মাসের মধ্যে একটা চটির মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। বাড়িতে পরার চটি খুব ভালো করে ধোওয়া দরকার। নয়তো ছড়াতে পারে ছত্রাক সংক্রমণ। প্রতি ছয় মাস অন্তর পালটান বাড়িতে পরার চটি।
৩. সাবানের স্পঞ্জ
দু’সপ্তাহ ব্যবহার করে ফেলে দিন সাবানের স্পঞ্জ। যত দামিই হোক না কেন, স্পঞ্জ বদলান দু’সপ্তাহের মধ্যে। পুরনো হোক বা না হোক, বদলে ফেলুন তা। কারণ এই সময়ের মধ্যেই তার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায় এই স্পঞ্জ থেকেও। যা ছড়িয়ে পড়তে পারে আপনার শরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবহারের আগে, গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন স্পঞ্জকে।
৪. দৌড়ানোর জুতা
প্রতিদিন সকালে এই জুতা ছাড়া আপনার মর্নিং ওয়াক অসম্পূর্ণ। কিন্তু বেশিদিন একই জুতা পরে দৌড়োবেন না। বড়জোর এক বছর। তা বদলে ফেলুন এই সময়সীমার মধ্যেই। কেন জানেন? কয়েক মাইল দৌড়োনোর পরেই জুতার নমনীয়তা হারাতে থাকে। যার ফলে চাপ পড়ে আপনার হাড়ের সন্ধিস্থলে। তাই সচেতন হোন।
৫. মাথার বালিশ
দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বদলে ফেলুন মাথার বালিশ। তুলোর চরিত্র বদল হতে শুরু করে এই সময়ের মধ্যেই। ঘাড়ে চাপ পড়ে অতিরিক্ত। যদিও সেটা বুঝতে সময় লেগে যায় অনেকটা। তাই সময় থাকতেই সাবধানতা অবলম্বন করা ভালো।
৬. চিরুণি
প্রতি সপ্তাহে চিরুণি খুব ভালো করে পরিষ্কার করেন আপনি। তারপরেও থেকে যায় সংক্রমণের ভয়। যেখান থেকে ইনফেকশন ছড়াতে পারে ত্বক ও মাথার তালুতে। চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ কিন্তু এটাই। তাই চিরুণি বদলান প্রতি এক বছর অন্তর।
সুস্থ থাকার এই ছোট ছোট টোটকাগুলো কিন্তু উপকারী। অথচ কষ্টসাধ্যও নয়। খুব সহজেই সমাধান করা যায় ঘরোয়া সমস্যার। শুধু একটু সচেতন হলেই চলবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন