জাপা প্রার্থীর সভায় হামলা-গুলি, আহত ৩০
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর প্রচার সভায় দু’দফা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় চাম্বল মাদরাসা এলাকায় প্রথম দফা ও পরে সোয়া পাঁচটার দিকে চাম্বল বাজারে দ্বিতীয় দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। জাতীয় পার্টির নেতারা অভিযোগ করেন, চাম্বল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুল হকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে বাঁশখালী চাম্বল বাজারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে সকাল থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠান স্থলে যাওয়ার পথে চাম্বল মাদরাসা এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রায় সাত রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়। হামলার পরও চাম্বল বাজারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী মতবিনিময় সভা শুরু করেন। সভার শেষ দিকে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে আবারো সভা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এ সময় অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জোবায়ের চৌধুরী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) চাম্বল বাজারে লাঙ্গল প্রতীকের কর্মীদের একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু চাম্বল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুজিবুল হক আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষ নিয়ে আমাদের মতবিনিময় সভা করতে বাধা দেন। ফলে আমরা গতকালের মতবিনিময় সভা স্থগিত করে আজ বিকেলে করার সিদ্ধান্ত নেই। আজকের সভার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করি’।
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু আমাদের মতবিনিময় পণ্ড করতে সকাল থেকেই চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাম্বল বাজারে অবস্থান নেয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মিছিল নিয়ে আমরা চাম্বল বাজারে যাওয়ার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা চাম্বল মাদরাসা এলাকায় প্রথম দফায় আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে প্রায় সাত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়’।
পরে আমরা বাধা উপেক্ষা করে চাম্বল বাজারে আমাদের নির্ধারীত মতবিনিময় সভা শুরু করি। প্রায় আধাঘণ্টা সভা চলার পর চেয়ারম্যান মুজিবুল হকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আবারো আমাদের সভা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে।
এ সময় প্রায় ৭০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে আমাদের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। যাদের অনেকে গুলিবিদ্ধ। গোলাগুলির ঘটনা চলার সময় মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীসহ শত শত নেতাকর্মী আটকা পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত ছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন