জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকাল
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সাঈদীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এক যুগের বেশি কারাগারে ছিলেন জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান।
আল্লামা সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদীও এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার দুপুরে কাশিমপুর কারাগারে বুকে ব্যথা অনুভব করায় সাঈদীকে কারা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
রাতে তাকে বিএসএমএমইউর কার্ডিওলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমদের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বিএসএমএমইউর ডি ব্লকের দ্বিতীয় তলার সিসিইউ-২ এর ৬ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন।
২০১০ সালের ২রা জুন রাজধানীর শহীদবাগের নিজ বাসা থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মামলায় গ্রেপ্তার হন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এরপর তাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে আপিলে তার আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়।
এদিকে, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল।
অপরদিকে, সাঈদীর মৃত্যুর খবরে জামায়াতের নেতা কর্মীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। তারা যেন কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না করতে পারে এজন্য দেশব্যাপী পুলিশি টহল জোরদার ও ধরপাকড়ে অভিযান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন