জামালপুরে গ্রামীন মহিলারা সবজি চাষে স্বাবলম্বি হয়ে আয় করছে লাক্ষাধিক টাকা

সরকার গ্রামীন অর্থনীতি ও গ্রামীন মহিলাদের স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রকল্পের মধ্যে ছিলো সবজি চাষে গ্রামীন মহিলাদের আত্ম নিয়োগ করা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় গ্রামীন মহিলারা স্বাবলম্বিতার পাশাপাশি আয় করছে লাক্ষাধিক টাকা। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা সবজি চাষের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। এ উপজেলার সর্বত্রই নানা ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক এ প্রতিবেদক কে বলেন, গ্রামীন মহিলাদের সবজি চাষে আত্মনিয়োগ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষন সহ ব্যপক সহায়তা করা হয়েছে।

সহায়তার কারনেই লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, কাজিয়ারচর, চরগজারিয়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার গ্রামীন মহিলারা সবজি চাষে ঝুকে পড়েছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা গেছে বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলী জমিতে সারি সারি গ্রীস্মকালীন সবজির বাগান।

মাঠে কাজ করছে। কিষানীরা। কথা হয় লক্ষীরচরের সবজি উদ্যোক্তা নাসিমা(২৮) টেবির চরের হাসিনা বেগম(৩০) এর সাথে তারা জানান, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতার কারনে চরা লের গ্রামীন মহিলারা নানা ধরনের সবজি চাষ করে যাচ্ছে। প্রতিজন গ্রামীন মহিলা সবজি বিক্রি করে লাক্ষাধিক টাকা আয় করছে।

সরকারের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় কৃষি বিভাগ ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করছে। যার জন্যে মহাদান ভাটারা কামরাবাদ, পোগলদিঘা, ডাংধরা, পাররামপুর, বাট্রাজোর, মেরুরচর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্রামীন মহিলারা। সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে।

বাট্রাজোর গ্রামের চামেলি বেগম বাজারে নিতে হয় না। পাইকাররা ক্ষেত থেকে শেষ হয়ে যায়। এ ব্যপারে উপজেলার সকল কৃষি কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তারা এ প্রতিবেদক কে জানান, কৃষক সমবায় সমন্বয়ের ভিত্তিতে গ্রামীন মহিলাদের স্বাবলম্বি করার জন্য সবজি চাষে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সরকারের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।