জামালপুরে জমে উঠেছে ধানের মোকাম

জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় জমে উঠেছে ধানের মোকাম। দেদারছে বেচাকেনা হচ্ছে বোরো মৌসুমের ধান। ধান বিক্রিতে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাওয়ায় কৃষি শিল্পে চাঙ্গা ভাব ফুটে উঠেছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতির চাঁকা জোরালো গতিতে ঘুরছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ধান চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও বিগত বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলন হলেও কৃষকরা ধান বিক্রিতে ফাইটার ভর্তি করে ধান নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। সদর উপজেলার নান্দিনা, নরুন্দি বাজার হচ্ছে ধানের বড় মোকাম।

সরেজমিনে এ বাজার গুলো ঘুরে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সাথে এর মধ্যে ধান ব্যবসায়ী হারেস(৬৫) হারুন(৬০) এর সাথে কথা হয়। তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, বাজারে ধানের ব্যপক চাহিদা। ফাইটার ভর্তি করে ধান বাজারে নিয়ে আসছে।

ধানের দাম সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি আরো বলেন, মোকামে বি.আর ২৮ মনপ্রতি ১হাজার ২০০টাকা, বি.আর ২৯ মন প্রতি ১হাজার ৫০টাকা মোটা ধান ৯৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধান বিক্রি করে কৃষকরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে।

এ দিকে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় বিভিন্ন মোকামে ধানের বাজার চাঙ্গা রয়েছে। বিভিন্ন বাজারে কৃষকরা ধান নিয়ে আসছে। এর মধ্যে সরিষাবাড়ী উপজেলা ধান সিমলা বাজার, বাউসী বাজার, বালিজুড়ি বাজার, ও ঝগড়ারচর বাজার ধানের বড় মোকাম।

এ মোকাম গুলোতে প্রতিদিন কোটি টাকার ধান বেচাকেনা হচ্ছে। সরেজমিনে এ মোকাম গুলো ঘুরে দেখা গেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পাশাপাশি পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা ধান কিনে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে।

আলাপচারিতায় তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কৃষক বান্ধব সরকার সব সময় কৃষকদের স্বাবলম্বি করার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছে। কৃষক সমবায় সমন্বয়ের ভিত্তিতে বিগত বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় মোকাম গুলো আজ চাঙ্গা। প্রায় প্রতিদিন কোটি টাকার ধান বেচাকেনা হচ্ছে।