জামালপুরে তীব্র গরমে মুরগির খামারিরা বিপাকে
বড় আশা করে যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে জামালপুরের অধিকাংশ বেকার যুবক স্বাবলম্বি হওয়ার আশায় মুরগির খামার করেছিলো। আশায় বুক বেঁধে ছিলো লাভবান হবে। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাড়ায় তীব্র তাপদাহ আর প্রচন্ড গরম। তীব্র গরমের কারনে মুরগি হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। ফলে খামারিরা চরম বিপাকে পড়েছে।
যানা যায়,জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও বেশ কিছু এলাকার বেকার যুবক যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে মুরগির খামার তৈরি করেন। নান্দিনা, নরুন্দি, পিয়ারপুর, ঘোড়াধাপ, দিকপাইত সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে মুরগির খামার করেন। এ এলাকা গুলোতে প্রায় ৫শতাধিক মুরগির খামার রয়েছে।
সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন খামারির সাথে। তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন,মুরগির খামার করে চরম বিপাকে পড়েছি। ইতোমধ্যে হিটস্ট্রোকে অনেক মুরগি মারা গেছে আরো মরার উপক্রম হয়েছে।
এ ব্যপারে জেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান প্রতিটি খামারে তাপ প্রবাহ মোকাবেল করার জন্য খামারিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। মুরগির শেডে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা, ধারন ক্ষমার বাইরে কম মুরগি রাখা, ভিটামিন জাতীয় ঔষুধ না খাওয়া। তাছাড়া শেডের চালে ভেজা চট দেয়া ও মুরগির গায়ে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এ দিকে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলাধীন মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, বাট্রাজোর, হাজীপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৭শতাধিক মুরগির খামারে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে।
সরেজমিনে এ খামার গুলোর খামারিদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে খামার করেছি। খামার করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। হিট স্ট্রোকে মুরগি রক্ষা করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে অনেক মুরগি মরে গেছে। আরো মুরগি মরার উপক্রম হয়েছে। প্রানী সম্পদ বিভাগ পরার্শ দিয়ে যাচ্ছে তবুও রক্ষা করা যাচ্ছে না। এতে ক্ষতির পরিমান হবে কোটি টাকা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন