জামালপুরে যমুনা নদীর ভয়াল তান্ডব

জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ভয়াল তান্ডব শুরু করেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম এ নদী। যমুনার ভয়াল তান্ডবের কারনে মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, ও বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধারন মানুষ আজ পানিবন্দি, এবং যমুনা ভয়াল তান্ডবে বাড়ীঘর বিলীন হয়ে ঘর ছাড়া আজ সাধারন মানুষ।

সর্বগ্রাসী যমুনা আজ এতোটাই রুদ্র মূর্তি ধারন করেছে যে সামনে যা পাচ্ছে সব গিলে ফেলছে। হুমকীর মুখে পড়েছে জামালপুর জেলার ৪টি উপজেলার সকল মানুষ। ফলে জেলার মানচিত্র পাল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

জানা যায়, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসায় ও উজানের পাহাড়ী ঢলে যমুনার মতো সব নদীর পানি হু হু করে বাড়তে থাকে। এবার বর্ষা মৌসুম আসার আগেই ফারাক্কার ৪৩টি গেট খুলে দেওয়ায় যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বাড়ার কারনে যমুনার তান্ডব মারাত্মক আকার ধারন করায় বিশেষ করে চরাঞ্চল এলাকার গ্রামের পর গ্রাম গিলে খাচ্ছে।

সরেজমিনে নদী ভাঙ্গন এলাক ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজনের সাথে এর মধ্যে আমির হোসেন(৪০) তোতা মিয়া(৩৫) এ প্রতিবেদক কে বলেন, এবার যমুনার ভাঙ্গন যে ভাবে শুরু হয়েছে অধিকাংশ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরো কিছু এলাকাবিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসা সহ শত শত একর জমি হুমকীর মুখে রয়েছে।

এ ব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই যমুনার ভাঙ্গন দেখা দেয়। ইতোমধ্যে ভাঙ্গন রোধে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডম্পিং করা হচ্ছে। আশা
করছি ভাঙ্গন থামানো সম্ভব হবে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সরকার স্থায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে সাময়িক ভাঙ্গন রোধ করা গেলেও স্থায়ী ভাবে নেয়া হচ্ছে না। এতে সরকারি অর্থ অপচয় হয়। স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।