জামালপুরের বালু মহাল কার দখলে যাবে

জামালপুর বালুর জন্য বিখ্যাত। এই বালুকে ঘিরে চলছে রমরমা বাণিজ্য। বালু মহালকে নিয়ে বিগত দূনীতিবাজ আওয়ামীগীগ সরকারের নেতারা টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে। আর সরকার রাজস্ব থেকে বি ত হয়েছে। এবার অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে। বালু মহাল কার দখলে যাবে? সরকার কি রাজস্ব থেকে বি ত হবে।

জানা যায়, জামালপু সদর উপজেলায়, শরীফপুর, ছোনকান্দা, নান্দিনা, নরুন্দি সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ বালু মহল। এই সব বালু মহাল থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অবেধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের স্রোতধারা পরিবর্তন সহ ভাঙ্গন শিকার হচ্ছে অসংখ্য গ্রাম।

তাছাড়া জীব বৈচিত্র্য পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। বিখ্যাত কাচঁবালু, খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধিনে হলেও নিয়ন্ত্রণ করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে থাকা সত্বেও অবৈধ ভাবে বালু মহল বানিয়েছে কতিপয় দূনীতিবাজ জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা তারা বালু উত্তোলনের নামে সিন্ডিকেট বানিয়ে টাকার পাহাড় বানিয়েছে। এক সময় তাদের ভয়ে কেউ টু শব্দ করতে পারতো না। চলতো তাদের অলিখিত শাসন এইসব দূনীতিবাজ নেতাদের কারণে সরকার রাজস্ব থেকে বি ত হয়েছে।

এ দিকে মেলান্দহ, ইসলামপুর, ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ অসংখ্য বালু মহল রয়েছে। এইসব বালু মহাল গুলো আওয়ামীলীগ নেতারা নিয়ন্ত্রন করতো। এখন করছে অন্য একটি দল। আওয়ামীলীগের দীর্ঘ শাসন আমলে অবৈধ বালু মহল থেকে অনেক নেতা টাকার কুমিরে পরিণত হয়েছে।

এখন দেশে চলছে অন্তবর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের শাসন। ছাত্র জনতার অভ্যুস্থানের মধ্য দিয়ে দেশের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। তিনি জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন দূণীর্তির বেড়াজাল থেকে দেশকে মুক্ত করবো। তাই সচেতন মহলের প্রশ্ন কবে নাগাদ এই অ লের অবেধ বালু মহল বন্ধ হবে।