জায়েদ খানের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য পদ স্থগিত
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করায় চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
পাশাপাশি পরবর্তীতে উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিল করা হবে। রোববার (২ এপ্রিল) শিল্পী সমিতির নবম বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিল্পী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক।
এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সদস্যরা চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। আজই শিল্পী সমিতিতে এসে বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের দাবি, দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নানা অন্যায় ও অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জায়েদ খান। অন্যায়ভাবে শিল্পী সমিতির ১৮৪ জন শিল্পীকে সদস্য পদ থেকে বাতিলও করেন তিনি।
বিক্ষোভে শিল্পীরা আরও জানান, শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বিএফডিসি. নিয়েও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন জায়েদ। তাই টাকা আত্মসাৎ করাসহ অসদুপায় অবলম্বন এবং দুর্নীতির কারণে তার সদস্য পদ বাতিল হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন জায়েদ খান। ভোটারদের রায় মেনে নেননি নিপুণ। আপিল করেন আপিল বোর্ডে। পাশাপাশি জায়েদ খানের নামে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তার মধ্যে অন্যতম–‘নোট’ দিয়ে ভোট কিনেছেন জায়েদ খান।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর শপথ নেন নিপুণ। এতে আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান।
জায়েদ প্রার্থিতা ফেরত পেলে আবারও আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবার আপিল করলে জায়েদ ফিরে পান পদ। কিন্তু উচ্চ আদালতে আবারও আপিল করেন নিপুণ। সেই আপিলের রায় এখনো হয়নি, যা নিয়ে দুই প্যানেলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন