জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে ২২ পণ্য
দেশে প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছিল জামদানি শাড়ি ২০১৬ সালে। আর সর্বশেষ গতকাল টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্বের ঘোষণা দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করেছে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। এর মধ্য দিয়ে দেশে জিআই স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ২২-এ। এছাড়া জিআই সনদের জন্য ডিপিডিটিতে আবেদন জমা রয়েছে আরো ১৪ পণ্যের।
ডিপিডিটি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যে ১৪টি পণ্যের জন্য আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলো হলো-যশোরের খেজুর গুড়
নরসিংদীর লটকন
নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা
জামালপুরের নকশীকাঁথা
মধুপুরের আনারস
সুন্দরবনের মধু
মৌলভীবাজারের আগর-আতর
রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম
মুক্তাগাছার মণ্ডা
রাজশাহীর মিষ্টিপান
শেরপুরের ছানার পায়েশ,
ভোলার মহিষের কাঁচা দুধ,
গোপালগঞ্জের রসগোল্লা,
নওগাঁ’র নাগ ফজলি আম
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৌলিক পণ্যগুলোর জিআই স্বত্ব নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন হয়। ২০১৫ সালে আইনের বিধিমালা তৈরির পর জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিতে আহবান জানায় পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০১৫ সালে প্রথম জামদানি শাড়ির জিআই স্বত্বের আবেদন জানায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন। পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও দুটি আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদনের ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে দেশের প্রথম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি।
এরপর একে একে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরসাপাতি আম, বিজয়পুরের সাদামাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, বাংলাদেশের কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহীর সিল্ক, ঢাকার মসলিন, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের শীতলপাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলসীমালা চাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা ও সর্বশেষ টাঙ্গাইল শাড়ি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন