জিয়া হত্যাকাণ্ডে মামলা কেন চললো না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর বিএনপি দু’বার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলেও জিয়া হত্যা মামলা চালানো হলো না কেন? এমন প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন: মামলাটা কেন চললো না তা রহস্য, জিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র কোন নেতা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘১৬ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন: জিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির উর্ধ্বতন নেতারা জড়িত কি না সেটি খুঁজে বের করা দরকার। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আপনারা দুই বার ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু জিয়া হত্যার মামলা করলেন না কেনো? মামলাটা চালালেন না কেন। এই রহস্যটা খুঁজে বের করা দরকার।
তিনি বলেন: জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের কারণে সবচাইতে লাভবান ব্যক্তি হচ্ছে তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া।
হাছান মাহমুদ বলেন: জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর কারণে খালেদা জিয়া দুই বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর বিএনপির মত একটি দলের চেয়াপারসনের পদ পেয়েছেন। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের কারণে সবচাইতে বেনিফিসিয়ারী বেগম খালেদা জিয়া।
তথ্যমন্ত্রী বলেন: জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনা অফিসারকে হত্যা করেছেন। ছুটিতে থাকা সেনাবাহিনীর অফিসারকে ধরে এনে ফাঁসি দেয়া হলো। তারা জানলোও না কী কারণে তাকে ফাঁসি দেয়া হলো। এভাবে বিনা বিচারে সেনাবাহিনীর শত শত অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের মুখপাত্র বলেন: আমি মনে করি জিয়াউর রহমান ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি কমিশন গঠন করে যারা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তাদের বিচার করা প্রয়োজন। তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন: বিএনপির দৈন্য দশা একজন নেতা খুঁজে পেল না। তাই তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং দুর্নীতি মামলার আসামি তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করলেন। তিনি সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে বসে নানা কথা বলেন। রাজনীতি করতে হলে সাহস থাকতে হয়। রাজনীতি করলে হলে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে হয়। যে পারে না, সেই রাজনীতিবিদ দলের নেতৃত্ব দিলেও পারে না। সেই রাজনীতিবিদ সঠিক রাজনীতিবিদ নয়।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আখতার হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক সুদীপ চন্দ্র হালদার, চিত্র নায়িকা শাহ নূর প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন