জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ
শৈশবের ডাক নাম কমল। পুরো নাম জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। আজ শুক্রবার তার ৮২তম জন্মবার্ষিকী।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম মনসুর রহমান, মাতা জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। পিতা পেশায় ছিলেন রসায়নবিদ। বগুড়া ও কলকাতায় শৈশব ও কৈশোর অতিবাহিত করেন। ভারত বিভাগের পর তিনি পিতার সঙ্গে তার কর্মস্থল করাচিতে চলে যান। ১৯৫৩ সালে তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও তার জীবনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো-দেশের সকল সঙ্কটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বার বার অবতীর্ণ হয়েছেন।
তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। সময়ের প্রয়োজনেই তিন দশক আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনো স্মরণ করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর নানা রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন ঘটে। দেশের সেই চরম ক্রান্তিকালে সিপাহি-জনতার মিলিত প্রয়াসে জিয়াউর রহমান নেতৃত্বের হাল ধরেন।
মহাসচিবের বাণী-
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনের দিশারী সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। এই মহান রাষ্ট্রনায়কের জন্মবার্ষিকীতে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা; গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং হারানো মৌলিক ও মানবাধিকার পুনরুদ্ধার করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।
২ দিনের কর্মসূচি-
জন্মবাষির্কী উপলক্ষে দুদিনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং শুক্রবার সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জিয়ার মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবে। দিবসটি উপলক্ষে দল ও অঙ্গসংগঠনগুলো পোস্টার প্রকাশ, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন সারা দেশে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন