‘জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও পাচ্ছে না ধানের শীষের প্রার্থীরা’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পুলিশের মদদে সারা দেশে বিএনপি জোটের প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও পাচ্ছেন না ধানের শীষের প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দেশের কোটি কোটি মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে জীবনযাপন করছেন। ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারের সময় শুধু আওয়ামী সন্ত্রাসীরাই নয়, যৌথভাবে পুলিশও গুলি চালাচ্ছে, পুলিশের গুলিতে আহত হচ্ছেন বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হচ্ছে প্রার্থীদের।
বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রায় ১০ জনের মতো ধানের শীষের প্রার্থী এখন কারাগারে। গ্রেফতার হামলা-মামলা অব্যাহত আছে। জনগণ নয়, পুলিশই নৌকা মার্কার প্রার্থীদের আস্থাকেন্দ্র।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, দুদিন আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় শেখ হাসিনা অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ঠিক সেদিনই মুন্সীগঞ্জে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তিনজন, সেদিনই বিএনপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন-এর মধ্যে নারী প্রার্থীরাও রয়েছেন। হামলার শিকার হয়েছেন শত শত বিএনপি নেতাকর্মী। সেদিনই গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকশ বিএনপি নেতাকর্মীকে।
গোটা দেশই একটি কারাগার মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কারাগারগুলোতে যেন ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা। কারাগারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করে এখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অজানা জায়গায়।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি বলেন, অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি বরখেলাপ করাটাই আওয়ামী লীগের ট্রেডমার্ক। যুগ যুগ ধরে জনগণ সেটিই দেখে আসছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আওয়ামী সভানেত্রীর বক্তব্যের পেছনে যে অসুস্থ মানসিকতা কাজ করছে তা কোনো যুক্তির তোয়াক্কা করে না।
ফের একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা না করতে হুশিয়ার করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা যদি আবারও যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখে, তা হলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী।
বিএনপির নির্বাচনে জনতার ঢল নামছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতসবের পরও সব বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী সভায় জনগণের ঢল নামছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্র মুক্তির নির্বাচন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচন, আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসায় কারারুদ্ধ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন।
সারা দেশে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ২০০৯ থেকে প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানোয়াট মামলার আসামি করা হয়েছে। এতদসত্ত্বেও সরকারের সব নির্যাতন উপেক্ষা করে বর্তমান ভয়াবহ দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্তি পেতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন