জেনারেল ওসমানীকে কেউ মনে রাখেনি : স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ
বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীকে কি জাতি ভুলে গেছে প্রশ্ন করে আলোচকবৃন্দ বলেন, মৃত্যুবার্ষিকীটি নীরবে চলে গেল। রাষ্ট্রীয় পর্যায় কেউ তাঁকে স্মরণ করেনি। অথচ বাংলাদেশের নাম যতদিন থাকবে ততদিন কর্ণেল ওসমানী নামটি প্রাসঙ্গিক। ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা থাকবে তাঁর নাম স্বর্নাক্ষরে।
বুধবার নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, সেনাপ্রধান জেনারেল আতাউল গনি ওসমানির ৩৮তম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি আয়োজিত স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ উরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সামসুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ডেমোক্রেটিক লীগ-ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল(এমএলএ) সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড হারুন চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টি (মাসর্কবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য বিধান দাস, বাংলাদেশ ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া প্রমুখ।
ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন; তেমনি স্বাধীন দেশেও জাতির দুঃসময়ে কান্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী। দেশের বহু ক্রান্তিলগ্নে তিনি জাতিকে নির্ঘাত সংঘাত থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন; দিয়েছেন আলোর দিশা।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, আমরা এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি। প্রশ্ন থেকে যায় মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী জেনারেল ওসমানীকে ভুলে যাওয়া কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা! ওসমানী আমাদের দেশ দিয়েছেন; কিন্তু আমরা তাকে মনের রাখার প্রয়োজন বোধ করছি না!
তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব মানুষই তাঁর কর্ম ও বেঁচে থাকাকালে নিজের বা ভবিষ্যৎ বংশধরদের আত্মীয় বা আপনজনদের জন্য কিছু করে রাখার চেষ্টা করেন। কিছু ব্যতিক্রমী মানুষও আছেন, যারা আজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে গেছেন। জেনারেল ওসমানী তাদেরই একজন।
সাম্যবাদী দলের সাধারন সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতার পথে মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, একটি দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার রনাঙ্গনের অন্যতম মহারথী; অথচ সেই স্বাধীনতার পক্ষে দাবী করা দলগুলোর কাছেই তিনি বরাবর উপেক্ষিত। এড়িয়ে চলে তাঁকে সচেতনভাবে। কারন তিনি ছিলেন নির্লোভ স্পষ্টভাষী।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড সামসুল আলম বলেন, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী ছিলেন বাংলার সূর্যসন্তানদের মধ্যে অন্যতম। ছিলেন ভীষণ আত্মমর্যাদা সম্পন্ন এক মহাপ্রাণ। রাজনৈতিক শঠতা, কপটতার ধারেকাছেও তাঁর অবস্থান ছিল না। সততায় আর সচ্চরিত্রে এক দেবতুল্য মানুষ ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন