সেমিনারে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী

‘জ্বালানি গবেষণাগার অংশীজন ও গবেষকদের নেটওয়ার্ক তৈরি করবে’

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিজ্ঞানী-সহ অংশীজনদের একত্রে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি করবে জ্বালানি গবেষণাগার। এটি দেশি-বিদেশি অংশীজন ও গবেষকদের মাঝে নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা আজ অনলাইনে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি)-এর উদ্যোগে ‘A Proposal to Set up Bangladesh National Renewable Energy Laboratory (BNREL)’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গবেষণার জন্য অর্থায়ন কোনো সমস্যা নয়। দেশ-বিদেশের প্রযুক্তি সহযোগিতা নিয়ে জ্বালানি গবেষণাগার সমৃদ্ধ করা যেতে পারে।

তিনি এসময় আরো বলেন, সকল গবেষণা ঢাকাকেন্দ্রিক না করে গবেষণার কাজ ঢাকার বাইরেও প্রসারিত করা যেতে পারে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেশন ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ফিজিক্যাল সাইন্স স্কুলের ডিন ড. সৈয়দ ইসলাম।

তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ল্যাবরেটরি স্থাপনের চ্যালেঞ্জ, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গবেষণাগার স্থাপনের অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের ভূমিকা, পরিমাপযোগ্য অবকাঠামো, গবেষণার সুযোগ, যৌথভাবে কার্যক্রমের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি মডেলিং, পরিকল্পনা ও পরিচালনা বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।

এ ল্যাবরেটরিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে গবেষণা, গ্রিডের ডিজিটালাইজেশন, জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানির বহুমুখীকরণ, টেকসই জ্বালানি, কার্বনমুক্ত অবস্থার লক্ষ্য পূরণ, বাংলাদেশের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্রিড কোড ও দক্ষ মানবসম্পদ এবং গ্রিন জব সৃজন নিয়ে গবেষণা হতে পারে।

বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বিইপিআরসি’র গভর্নিং বডির সদস্য অধ্যাপক ড. সাইফুল হক সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।