ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী মন্দির

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৯ সালে একটি অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করা হয়। তবে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় হঠাৎ বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়ায় মন্দিরটির গেট ভেঙে পড়ে।
মন্দিরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উঁচু-নিচু ও ঢালু জায়গায় অবস্থিত। টিনের তৈরি এ উপাসনালয়টির গেট ঝড়ে ভেঙে পড়েছে এবং গোটা কাঠামো নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।
ঘটনার পর সনাতন শিক্ষার্থীরা স্থায়ী মন্দির নির্মাণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। প্রশাসন দ্রুত বিষয়টি আমলে নিয়ে পরদিন ২৩ এপ্রিল এক বৈঠকে একটি নতুন অস্থায়ী মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এক সনাতন শিক্ষার্থী জানান, “অস্থায়ী মন্দিরটির চারপাশে আবর্জনা ও মশার উপদ্রব থাকায় উপাসনায় ব্যাঘাত ঘটতো।”
অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের একটি স্থায়ী মন্দির দরকার। ঝড়ে টিনের তৈরি মন্দিরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির সময় পানি জমে যায়, যা খুবই কষ্টকর।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংঘের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা স্থায়ী উপাসনালয়ের দাবি জানিয়ে আসছে। মঙ্গলবার অস্থায়ী মন্দিরটি ভেঙে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা সাপ্তাহিক উপাসনা করতে পারেনি। তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়। উপাচার্য মহোদয় আরেকটি অস্থায়ী মন্দির তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যানে ত্রিধর্মীয় (হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান) উপাসনালয়ের একটি প্রকল্প রয়েছে, যার মধ্যে মন্দিরও অন্তর্ভুক্ত। সেটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে। এ ছাড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন একটি অস্থায়ী মন্দির খুব দ্রুত নির্মাণ করা হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন