ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
রয়েছে নারী কেলেঙ্কারি সহ অসংখ্য অভিযোগ, বরিশালে রয়েছে নামে ” বহুল বিলাস ভবন। এক স্থানে বেশি দিন চাকরির সুবাদে তৈরি করেছে আধিপত্য।
দ্রুত অপসারণ চেয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী। সাধারণ জনগণ, সুশীল সমাজ, বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের তারিখ : ২৫ জানুয়ারি ২০২১ অনিয়ম। একই কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় কাজ করার সুবাধে স্থানীয় মধ্যস্বত্বভোগীদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন যুব কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।
কিছুসংখ্যক যুব মহিলা ও যুবকদের মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে আর্থিক সুযোগ নিচ্ছেন তিনি। সরকারের নির্দেশনা থাকলেও প্রশিক্ষিত যুবকদের ঋণ না দিয়ে প্রকল্প ছাড়াই চল্লিশ বছর বয়সের সদস্যকে যুব ঋণ দিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। যুব ও যুব মহিলা প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট বাবদ জন প্রতি ৩০ টাকা, চক ডাস্টার বাবদ জন প্রতি ১০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
উত্তর বাশবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহারুম হাওলাদর ও তার স্ত্রী অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এদের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, তদন্তের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কামরুল বলেন, শাহারুম খারাপ লোক ও কত বড় হেড মাস্টার আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিবে সাংবাদিকের তথ্য দেয়, ওরে ধরে উপজেলা মোরে প্রকাশ্য বেধে পিটাবো।
এছাড়াও উপজেলা পরিষদ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প কাজের দায়িত্ব পাওয়ার সুবাধে অর্থ বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে এ যুব কর্মকর্তাকে ঘিরে। এসব কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ প্রশিক্ষিত যুব সংগঠনের সদস্যরা। প্রশিক্ষিত যুবদের প্রতিবছর ২০-২৫ জনকে ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও কর্মকর্তার পছন্দমতো মহিলা দেখে দেখে ঋণ দেয়া হয়েছে।
সরকার বেকার যুবদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ হাতে নিলেও অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে থমকে আছে যুব কার্যক্রম। কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে মৌখিকভাবে অবগত করা হলেও কোনো সুরাহ পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানায়, উপজেলার অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে কামরুল সকল অফিসারদের উপর প্রভাব খাটায়। এমনকি অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচনে যারা তার বিরোধিতা করেছে তাদের কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ ও রয়েছে এই কর্মকর্তার উপরে।
নির্বাচনকালীন সময় কাঠালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির এর পক্ষ্যে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চলিয়ে ” মরির ভাই ভালো লোক জয়ের মালা তারি হোক, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার পরিবর্তন এর একদিনের মাথায় ভোল পল্টিয়ে বিএনপির নেতা দাবি করে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর মাঝে প্রচার করে বেরান।
ঝালকাঠি জেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক বলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অনেক বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ আসছে। আমি তা গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে কাঠালিয়া যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। অভিযোগকারীরা সুবিধা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।
অথচ সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, যে সকল ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা কাগজে কলমে দেখানো হয়েছে, বাস্তবে ওই এলাকায় এসব ব্যক্তিদের কোন অস্তিত্বই নেই এবং ট্রেনিংপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নামের সাথে অফিসিয়াল ভাবে সংরক্ষিত ফাইলে যেসব মোবাইল নাম্বার যুক্ত করা হয়েছে, ফোন করলে তাদের অধিকাংশ নাম্বারই বন্দ পাওয়া যায়।
আর যেসব নাম্বারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে তাদের বেশীরভাগই কাঠালিয়ার বাহিরের লোক। অর্থাৎ তালিকায় উল্লেখিত সকল মোবাইল নাম্বারই ভুল। তিনি তার মনগড়া প্রত্যেকের নামের পাশে একটি করে নাম্বার যুক্ত করে শুধুমাত্র কাগজে কলমে ট্রেনিং দেখিয়ে ভাতার টাকা উত্তোলন করে তিনি নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন