ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ভুল চিকিৎসায় গবাদি পশুর মৃত্যুর

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা পশু হাসপাতালের ড্রেসার সেলিমের ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতী গাভীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

গরুর মালিক মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রায় তিন লক্ষ টাকা মূল্যের গর্ভবতী গাভীটি মারা যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির অভিযোগ তুলে উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে বিচার দাবি করেছেন দরিদ্র পরিবারটি।

রোববার (৬ নভেম্বর ) দুপুরে কাঠালিয়া প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা বরাবর লিখত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোখলেছুর রহমান।

তিনি জানান, গরুর অর্ধেক টাকা পরিশোধ করে তিন বছর ধরে গরুটি লালন পালনের পর সম্প্রতি সাড়ে ৮ মাস আগে গর্ভবতী হয় গরুটি।

১৫ দিন পরই বাচ্চা প্রসব করার কথা ছিল, তবে শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার পর উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিসের ড্রেসার সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়, একই গ্রামে একটি দালাল চক্র। সেই সুবাদে ড্রেসার সেলিম গরুর চিকিৎসা শুরু করে।

গরুর মালিক বলেন ভুয়া ডাক্তার সেলিম কাঠালিয়া পশু হাসপাতালের বড় ডাক্তার পরিচয় দিয়েছেন, এর পরে গরুটিকে পরপর চার টি ইনজেকশন করে ঐ ভুয়া ডাক্তার। এর পরেই অবনতির দিকে যায় গরুর অবস্থা।

এবিষয়ে আমুয়া স্থানীয় চেয়ারম্যান ফোরকান শিকদারের কাছে অভিযোগ করলে, বামনা উপজেলা চেয়ারম্যানের কে দিয়ে শালিশ করে দেয়ার সুপারিশ করেন।

কিন্তু সেলিম কে বৈঠকে বসাতে আমুয়া ইউ পি চেয়ারম্যান ফোরকান শিকদার বারবার তাগিত দিয়েও তাকে উপস্থিত করতে না পেরে, গরুর মালিক মোখলেসকে সেলিমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে ড্রেসার সেলিম বলেন, স্যারের ব্যবস্থাপত্র এবং নিয়ম অনুযায়ী গরুর শরীরে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে। আমার কোনো ত্রুটি নেই। আমার মতো সবাই চিকিৎসা করে আমার কি দোষ।

কাঠালিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, কয়েকদিন ধরে গরুটি খুব অসুস্থ ছিল। আমি শুনেছি, ও অভিযোগ পেয়েছি। সেলিম ঔষধ দিয়েছেন তার চিকিৎসায় গরু মারা গেছে কিনা তা তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নিব।