টাঙ্গাইলের তরুণীকে চারদিন আটকে রেখে গণধর্ষণ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক তরুণীকে (২১) অপহরণের পর চারদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের বাজাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে মোকলেছ উদ্দিনসহ (৩৫) চারজনের নামে মামলাটি করেন। ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষিতার পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের বাজাইল গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত ওই তরুণী নিখোঁজ হন। তিনদিন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। হঠাৎ বুধবার বিকেলে মোবাইল ফোনে একই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক মোকলেছ উদ্দিন (৩৫) নিখোঁজ ওই তরুণী তার কাছে রয়েছে বলে জানায়।
এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় ওই নারীর বাবা অপহরণকারী মোকলেছ উদ্দিন (৩৫), তার বাবা আবদুল খালেক, মা মিলা বেগম ও বোন মেহেরুনকে আসামি করে সখীপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার সংবাদ পেয়ে ওইদিন রাতেই মোকলেছ উদ্দিন তরুণীকে তার বন্ধু মৃদুলের মামা মোবারকের বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে নিজ বাড়ি নিয়ে আসে পরিবার।
উদ্ধারকৃত তরুণী জানান, বখাটে মোকলেছ উদ্দিন তাকে জোরপূর্বক তুলে নেয় ও চারদিন আটকে রেখে বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্বরচিত এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শস্তির দাবি করেছেন মামলার বাদী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সখীপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফুল কবির জানান, থানায় মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন