টানা পঞ্চম দিনেও উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি ; ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
চার দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের পঞ্চম দিনে চার দফা দাবিতে অনড় তারা। সেই সাথে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, উপাচার্যরা এক হয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের পাশে দাঁড়িয়ে ধর্ষণ ও হামলার বিচার চাইতে। এ সময় তারা আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ৭১ টিভির গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিকে মিথ্যা তথ্য প্রকাশের অভিযোগ এনে বয়কটের কথা জানান।
এরপর সকাল ১২টায় বশেমুরবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল সারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্ত্বরে। এ সময় বশেমুরবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত সোমালিয়ান, নেপালি ও বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। ভেটেরিনারি বিভাগের নেপালি শিক্ষার্থী অসমিতা কারকি বলেন, “আমরা এই ভার্সিটিতে, এই শহরে নিরাপদ বোধ করছি না৷ আমাদের একটাই দাবি আমাদের বোনের ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।” এছাড়াও সিএসই বিভাগের নেপালি শিক্ষার্থী বিবেক করণ, সোমালিয়ান শিক্ষার্থী মোঃ আদম বক্তব্য দেন৷ বক্তারা বলেন, যে ঘটনাটি ঘটে গেছে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হোক।
এছাড়া দিনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিকাল ৪:৩০ টায় মুখে কালো কাপড় ও হাত বেঁধে প্রতিবাদ এবং সন্ধ্যায় ৭ টায় ধর্ষকদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে। এর আগে, সকাল ৭ টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পঞ্চম দিনের আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগ এলাকায় বন্ধুর সাথে মেসে যাওয়ার সময় ৭/৮ জন ধর্ষক নিকটবর্তী নির্মাণাধীন জেলা প্রশাসন স্কুলে নিয়ে ধর্ষণ করে বশেমুরবিপ্রবির এক শিক্ষার্থীকে। এই ঘটনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় স্থানীয়রা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে উপাচার্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ আহত হয় অর্ধশতাধিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন