ট্রাম্প-তরুণী প্রেস সেক্রেটারির গোপন তথ্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো নতুন প্রেস সেক্রেটারি নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়ে তার সাত মাসে চারজন প্রেস সেক্রেটরি নিয়োগ করা হলো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হোয়াইট হাউসে দৃশ্যত এখন তার দল রিপাবলিকান কোনো রাজনীতিক নেই।
সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, সেখানে সর্বশেষ রিপাবলিকান রাজনীতিক ছিলেন রায়ান্স প্রিবাস। তারও বিদায় হয়েছে হোয়াইট হাউস থেকে। এখন ট্রাম্পের চারপাশে যারা আছেন তারা হয়তো কোনো ব্যবসায়ী না হয় কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা পরিবারের সদস্য।
তবে এবার যাকে প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি ২৮ বছর বয়সী সাবেক মডেল হোপ হিকস নামের সুন্দরী। ট্রাম্প ও হোপ হিকসের পরিচয় তার পরিবারের মাধ্যমে। গত পাঁচ বছর ধরেই ট্রাম্পের পরিবারের সঙ্গে হোপের যাতায়াত। সেই সূত্র ধরে তিনি প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ একজন সহকর্মী হয়ে উঠে। তবে হোপের কোনো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নেই। এমন একজন অপরিণত তরুণীকে এত গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হলো? এর জবাবে মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, হোপ হিকসের কোম্পানির একজন ক্লায়েন্ট ছিল ট্রাম্পের কন্যা ইভানকা ট্রাম্পের ফ্যাশন কোম্পানি।
নিজের ওই প্রতিষ্ঠানের হোপ হিকস ছিলেন জনসংযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি নিজে রাফ লরেনের মতো কোম্পানির মডেল হয়েছেন। গসিপ গার্ল নামের ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ কন্যা হয়েছেন। কাজের অংশ হিসেবে তিনি ইভানকার পোশাক কোম্পানিতে বেশকিছু পোশাকের মডেলিংও করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভানকার সঙ্গে কাজ করার কারণে হোপ হিকসের দিকে দৃষ্টি পড়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি তাকে ২০১৪ সালে ব্যক্তিগতভাবে হোপ হিকসকে তার রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে পিআর পদে বসিয়ে দেন।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হোপ হিকস রাজনীতি থেকে সরে আসেন। ওই সময়ে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে একটি সফরে সঙ্গী হয়েছিলেন। ওই সফরটি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম প্রচারণা ছিল। এ ছাড়া ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট সচল রাখতে সহায়তা করেন হোপ হিকস। এই একাউন্ট ডাউন হয়ে যাওয়ার পর ট্রাম্প তার অর্গানাইজেশনের অন্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তাতে টুইট করতে। যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা গুরুত্বর রূপ ধারণ করে তখন হোপ হিকসের সামনে দু’টি পথ খোলা। একটি হলো ফুলটাইম রাজনৈতিক প্রেস সেক্রেটারি হওয়া। অন্যটি হলো ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে কাজে ফিরে যাওয়া। হোপ হিকস দ্বিতীয়টি বেছে নেন।
এই ২৮ বছর বয়সী এই তরুণী নিজে সাক্ষাৎকার দিতে খুব একটা আগ্রহী নন। তবে যখন সাংবাদিকরা ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তখন সেখানে দেখা গেছে হোপ হিকসকে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় তিনি নিজের টুইট একাউন্ট মুছে দিয়েছিলেন। তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট ছিল একান্তই ব্যক্তিগত।
ওদিকে হোপ হিকসের সাবেক কোচ ল্যাক্রোস ওয়াশিংটন পোস্টকে হিকসের মনোবাসনা সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হিকস অন্যকে সহায়তা করাকে পছন্দ করে। সে আসলে একজন টিম প্লেয়ার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী। সে প্রেসিডেন্টকে সেবা দেয়াকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে। সূত্র: মিরর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন