ট্রাম্প বললেন, দারুণ কিছু ঘটতে চলেছে!
সোমবার সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তারা কি কথা বলেছেন এই নিয়ে গণমাধ্যমের কৌতুহলের শেষ নেই। মিডিয়া বিদ্বেষী ট্রাম্পও হোয়াইট হাউজের মাধ্যমে কিছু জানাননি। তবে চেপে রাখতে না পেরেই কিনা কে জানে টুইটারে কিছুটা ধারণা তিনি দিয়ে দিয়েছেন।
আল এরাবিয়ার খবরে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তিনি যে ফন্দি এঁটেছেন তাতে দারুণ কিছু ঘটতে চলেছে। টুইটারে ট্রাম্প জানান, ‘মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সৌদি বাদশার সঙ্গে গতকালের আলোচনার পর দারুণ কিছু ঘটতে চলেছে।’
তবে কাতার ইস্যু নিয়েই সৌদি বাদশার সঙ্গে ট্রাম্প কথা বলেছেন কিনা, তা টুইটার মন্তব্যে পরিস্কার হয়নি। তবে এই বিষয়টিও দু’নেতার আলোচনায় ছিল বলে জানিয়েছে আল এরাবিয়া।
সোমবার দোহার সঙ্গে সৌদি জোটের সাম্প্রতিক উত্তেজনার ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে কাতার, সৌদি আরব এবং আবু ধাবির নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেসময় তিনি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় উপসাগরীয় দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তবে সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে সৌদি জোটের সঙ্গেই একমত ছিলেন তিনি।
কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে সন্ত্রাসবাদকে বড় কারণ বলে উল্লেখ করছে সৌদি জোট। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্তেও রয়েছে সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন দেওয়া বন্ধের আহ্বান। কিন্তু কাতার বরাবরই সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
জঙ্গিবাদে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসরসহ কয়েকটি দেশ। কিন্তু এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে তা নাকচ করে দেয় কাতার। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ২ সপ্তাহ পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কাতারকে ১৩ দফা শর্ত বেঁধে দেয় চার দেশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন