ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অসহায় পরিবারের নির্মাণ কাজ বন্ধ করার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অসহায় একটি পরিবারের বসতভিটা অন্যায়ভাবে জবর দখলের চেষ্টাসহ নানামুখী অপতৎপরতার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, পৈত্রিক ভিটার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছে এই পরিবার। পুলিশ সদস্য ভাতিজা ও তার সহযোগীরা নানা অজুহাতে স্থানীয় থানা পুলিশের প্রভাবে তার আপন চাচার ভোগ দখলীয় বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে নিজের দখলে নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এছাড়াও নির্মাণ কাজে বাধা দিচ্ছে এই পুলিশসদস্য ও তার ছোট ভাইয়েরা। তিনি প্রভাব খাটিয়ে চাচাকে প্রান নাশের হুমকিসহ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার রঘুনাথপুর মুন্সিপাড়া মহল্লার ১৫১৯ দাগের সম্পত্তির উপর বাড়ী-ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিরোধের সুত্রপাত হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়রের মধ্যস্ততায় কিছু আগে আপোষ নিষ্পত্তি হয়। দীর্ঘদিন পরে নিষ্পত্তি হওয়া বিষয় নিয়ে মূল বিবাদীর মৃত্যুর পর তার পুত্র পুলিশে চাকরীর সুবাদে প্রভাব সৃষ্টি করে পুরাতন বিষয় নিয়ে নতুন করে বিবাদের সৃষ্টি করেন।
সম্প্রতি চাচা গোলাম রব্বানী তার চল্লিশ বছরের পুরাতন প্রাচীরে ফাটল ধরায় প্রাচীরের ভিতরের দিকে ঢালাইয়ের মাধ্যমে বীম স্থাপনের কাজ শুরু করলে পুলিশ সদস্য মন্জুরুল আলম লিটনের নির্দেশে তার ছোট ভাই রিপন, লিয়ন ও মাতা খতেজা বেগম সশস্ত্রভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে গোলাম রব্বানী পীরগঞ্জ পৌর সভায় পূনরায় আবেদন করে আবারো সম্পত্তির বিষয়টি নিরসনের দাবী করেন। পৌর মেয়র উভয় দিক বিবেচনা করে পৌরসভার সার্ভেয়ারকে জমিমাপ জোক করে সীমানা নির্ধারনের নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক সার্ভেয়ার আব্দুল করিম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুবু ররহমান কে নিয়ে বিরোধ সম্পত্তিতে যান এবং জমি মাপের উদ্দ্যোগ নেন কিন্তু পুলিশ মন্জুরুল আলমের মোবাইল নির্দেশনায় ছোট ভাইরিপন ও তার মা জমি মাপতে বাধা দেয় এবং সার্ভেয়ারকে জমিতে শিকল ফেলতে নিষেধ করে।
জমি মাপতে দেয়া হবেনা মর্মে উচ্চবাচ্য করায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ হতবাকহন এবং পুলিশি প্রভাবের নিন্দা করেন। পরে সার্ভেয়ার জমি না মেপে ফিরে যান এবং মেয়রের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন মোতাবেক মেয়র মো.ইকরামূলহক গোলাম রব্বানীর পক্ষে প্রতিবেদন দেন এবং প্রাচীর নির্মানের প্রয়োজনীয় অনুমোদনে ২২ নভেম্বর স্বাক্ষর করেন।
মূলত পুলিশ সদস্য মন্জুরুল আলম পীরগঞ্জ সংলগ্ন বোচাগঞ্জ উপজেলায় বদলী নিয়ে তার অফিসিয়াল ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রায়ত নিজ বাড়ীতে আসেন এবং পারিবারিক বিরোধ সমূহের ইন্ধন দিয়ে থাকেন। তার নিজবাড়ী থেকে কর্মস্থল থানার দুরুত্ব মাত্র ১০ কিমি। ফলে অনডিউটি তিনি দিনে রাতে নিজ বাড়ীতে যাতায়াতের প্রয়াস পান এবং বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে এলাকাবাসীর ক্ষয়ক্ষতি করে থাকেন। এ বাপারে ভুক্তভুগী পুলিশের উধ্বর্তন কমকর্তা কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন