ঠাকুরগাঁয় পুকুর পাড়ের পরিত্যক্ত জমিতে মাল্টা চাষ করে কৃষকের সাফল্য

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে একটি পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ের জমিতে সবুজ মাল্টা চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন আব্দুর রহমান নামে এক সফল চাষী। অনাবাদি পরিত্যক্ত ২৬বিঘা পুকুর পাড়ের জমিতে ছোট বড় সব গাছগুলোর প্রতিটি শাখাজুড়ে সবুজ মাল্টার সমাহার।

প্রতিটি পাতার নিচে লুকিয়ে আছে শত শত মিষ্টি রসালো মাল্টা ফল। দর্শনার্থীরা বাগান দেখতে আসার পাশাপাশি কিনছেন সবুজ মাল্টা। বাগানেই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০থেকে ৮০টাকা দরে। গাছের টাটকা মাল্টা খেতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরাও।

দেখতে কাঁচা মনে হলেও বেশ সুমিষ্ট ও রসালো সবুজ মাল্টা। কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই ফোরেমন ফাঁদ ব্যবহার করে চাষ করা হয়েছে বারী-১ জাতের এসব মাল্টা। গাছের পরিচর্যায় ব্যবহার হয়েছে শুধু জৈব সার।

তার এই মাল্টা চাষ সাফল্যের পরে অনেক ছোটখাটো বাগান গড়ে উঠেছে সেই এলাকা গুলোতে। তারাও সাফল্যের পথে হাঁটছে।

ভালো ফলনের পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন তিনি। মাল্টা চাষে সবধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক পাশ করার পরে চাকরির পিছনে না ঘুরে ২০১৮ সালে পীরগঞ্জ উপজেলার চন্দ্ররিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান বাড়ির পাশের শুকান দীঘির পাড়ে ২৬ বিঘা জমিতে ৪৮’ শত বারী-১ জাতের চারা দিয়ে সবুজ মাল্টা চাষ শুরু করেন।

পরের বছর থেকেই এই গাছগুলোতে নিয়মিত ফলন আসছে। বিগত বছরের চেয়ে এবার ফলন আরও ভালো হয়েছে।

আব্দুর রহমান বলেন, অন্যান্য জেলা থেকে মানুষ এসে বাগান দেখে চারা নিয়ে যায়। এত চাহিদা থাকে আমার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। দাম ভালো পেলে ৩০ হতে ৩৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।আব্দুর রহমানের সাফল্যে সবুজ মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় যুবকরাও।

এবার আব্দুর রহমানের মাল্টা বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ ও গাছ পরিচর্যায় খরচ হয়েছে প্রায় ৯ লাখ টাকা। ২ হাজার মন মাল্টা বিক্রি করে ৩৫ লাখ টাকারও বেশি আয় করার আশা তার।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লায়লা আঞ্জুমান বলেন,আব্দুর রহমানের মাল্টা বাগান বেশ ভালো ফলন হয়েছে। আমরা যতটুকু পরামর্শ ও সহযোগিতা করার করছি। প্রত্যেক গাছেই ভালো ফল এসেছে। উনি কৃষি বিভাগের সকল পরামর্শ মেনে চলছেন। আশা করি উনি সাফল্য অর্জন করবেন।