ডলফিন সংরক্ষণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে : পরিবেশমন্ত্রী
জলের প্রতিবেশ রক্ষার মাধ্যমে ডলফিন সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার বলেছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ডলফিন থাকলে জলের প্রতিবেশ ভালো থাকে এবং মাছের বংশ বৃদ্ধির পরিমাণ বেড়ে যায়। এজন্য ডলফিন সংরক্ষণে ডলফিন অ্যাকমণ প্লান প্রস্তত করেছে সরকার।
ডলফিন রক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের নয়টি এলাকাকে ডলফিন অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সুন্দরবন এলাকায় সাতটি ডলফিন কনজারভেশন দল গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বন কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সুফল প্রকল্পের আওতায় ডলফিন সংরক্ষণ কর্মসূচী বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রী রাজধানীর বন অধিদপ্তর মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘শুশুক ডলফিন রক্ষা করি, জলজ প্রতিবেশ ভাল রাখি।’
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, আইইউসিএন বাংলাদেশ’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমিন।
এতে বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ডলফিন হত্যারোধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী তিমি বা ডলফিন হত্যার জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। এই আইনের প্রয়োগ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডলফিন সংরক্ষণের জন্য বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এলাকার ১ হাজার ৭৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ডলফিন সংরক্ষণে জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ডলফিন মেলা আয়োজনসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং কমিউনিটিভিত্তিক ডলফিন সম্পর্কিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এতে সুন্দরবনে ডলফিনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্যে এ বৃদ্ধির হার ৫৫শতাংশ, যা দেশের ডলফিন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন