ডিসেম্বরে ভোট, ঠেকানোর ক্ষমতা কারও নেই : তোফায়েল

আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। নির্বাচন হবে বর্তমান ক্ষমতাশীন দলের অধীনে আর সে নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে বিএনপি যত দাবি-দাওয়া উত্থাপন করুক কোনো লাভ নেই। বরং আরও ক্ষতি হবে তাদের।’

শুক্রবার দুপুরে ভোলা সদরের তুলাতুলি বাজারে ধনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আযোজিত নতুন সদস্য সংগ্রহ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় বিচারক তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। এ নিযে আমাদের কিছু বলার নেই। আর আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কারো আন্দোলন-সংগ্রাম করা উচিতও নয়।’

বিএনপির আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত নয় দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত নয়। আর ন্যায়সঙ্গত ও মানুষের আন্দোলন হলে তা সফল হয়। যেমন আমরা পাকিস্তান সরকারে সময় আসাদ, মতিউর ও মকবুলকে হত্যা করায় আন্দোলন করেছি। সে সময় লক্ষ লক্ষ লোক মিলে আন্দোলন ও গণঅভুথ্যান হয়েছে। যার কারণে আইয়ুব খান বলতে বাধ্য হয়েছেন আমি ক্ষমতা ছেড়ে দিলাম।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছে। তারা মসজিদের মুয়াজ্জিনকে গুলি করে হত্যা ও বিভিন্ন জায়গায় মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে। এমনকি গর্ববতী মাকেও তারা রেহাই দেয়নি। আবার যদি একবার সুযোগ পায় তাহলে কী করবে তা কেউ চিন্তাও করতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ২০১৩ সালে আগুন সন্ত্রাস করেছে, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করতে চারজন প্রিজাইডিং অফিসার ও ২৪ জন পুলিশ মেরে ফেলেছে। ২০১৫ সালে ৯৩ দিন হরতাল অবরোধ করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কিছুতেই তারা সফল হয়নি। বিএনপি যদি আবার সেই তাণ্ডব চালায় তাহলে তাদেরই ক্ষতি হবে। কারণ দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যা করা দরকার তাই করবে। এজন্য বিএনপি ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ে বর্তমানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে। কারণ গ্রেপ্তার হলে তারা কর্মী সংকটে পড়বে।’

সমাবেশে ধনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, জেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হর আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, সদর উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির প্রমূখ।

বিকোলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাপ্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নতুন সদস্য সংগ্রহ সমাবেশে যোগদান করেন।