ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচন স্থগিত
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ডিএনসিসি মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলের স্থগিত চেয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট দায়ের করেন রাজধানী উত্তরের বেড়াইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও ভাটারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। পরে রিট দুটির শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ (বুধবার) দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতে আতাউর রহমানের করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আহসান হাবিব ভূঁইয়া। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরের করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোকাররামুস সাকলান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
গত ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ওই দিন ডিএসসিসির নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনেরও তফসিল ঘোষণা করে। একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ৬টি করে ১২টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
আইনজীবীরা জানান, গত ৯ জানুয়ারির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যিনি প্রার্থী হবেন তিনিও জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়াও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী ‘মেয়রের পদসহ কর্পোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, কর্পোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
আইন মতে, উত্তর সিটি কর্পোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি মিলে কাউন্সিলর শতকরা ৭৫ ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না। তাছাড়া, সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন তারা কতদিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তারা কি পাঁচ বছরের জন্য হবেন, না আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। এসব প্রশ্ন রেখেই দুটি রিট করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন