ঢাবি উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ আগস্ট
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জেষ্ঠ্য এ অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য।
২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি উপাচার্য হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এ গুরু দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ তাকে এ নিয়োগ দেন।
বর্তমানে উপাচার্য হিসেবে তার দ্বিতীয় মেয়াদ চলছে। প্রথমবার সম্পূর্ণ সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ পেলেও পরে পার করেছেন নির্বাচিত একজন পূর্ণ উপাচার্যের মেয়াদকাল।
২০১৩ সালের ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দেন। এ মেয়াদে তার দায়িত্ব শেষ হচ্ছে ২৪ আগস্ট।
জানা গেছে, প্রথম মেয়াদে উপাচার্যের নিয়োগ পত্রে ‘পরবর্তী সিনেট অধিবেশনে তিনজনের উপাচার্য প্যানেল গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাময়িক সময়ের জন্য এ দায়িত্ব পালন করবেন’ লেখা থাকলেও কয়েকবার সিনেট অধিবেশন হলেও উপাচার্য প্যানেল গঠনে উদ্যোগ নেননি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। যার কারণে এ সময়ে শেষ করেছেন পূর্ণ উপাচার্যের মেয়াদকাল।
২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘উপাচার্য প্যানেল’ এ মনোনয়ন পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী ও বাম-সমর্থিত শিক্ষকদের নীল দলের প্যানেল। আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ তিনজনের ওই প্যানেলে ছিলেন দুই সহ-উপাচার্য নাসরীন আহমাদ ও সহিদ আকতার হুসাইন।
তবে সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের আগে উপাচার্য প্যানেলের নির্বাচন দেয়ায় অধিবেশন বয়কট করে বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত শিক্ষকদের সাদা দল। অধিবেশন চলাকালে তারা সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এতে সাদা দলের ৭০-৮০ শিক্ষক অংশ নেন। তখন সিনেটের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৫০ জন। এর মধ্যে ৩৬ সদস্য উপস্থিত ছিলেন ওই অধিবেশনে।
পরদিন রাষ্ট্রপতি উপাচার্যের প্যানেল থেকে অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেন। সে মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ আগস্ট।
এদিকে নতুন উপাচার্য প্যানেল তৈরির লক্ষ্যে আগামী ২৯ জুলাই সিনেট অধিবেশন ডেকেছেন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
জানা গেছে, ওইদিন নির্বাচিত সিনেট সদস্যরা পরবর্তী উপাচার্যের প্যানেল নির্বাচিত করবেন। তিনজনের ওই প্যানেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ একজনকে পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এনামুজ্জামান সিনেট অধিবেশনের কথা স্বীকার করেন। এছাড়া কয়েকজন সিনেট সদস্য জানিয়েছেন, ২৯ জুলাইয়ের সিনেট অধিবেশন থেকেই উপাচার্য প্যানেল নির্বাচিত হবে।
অন্যদিকে নতুন উপাচার্য হিসেবে প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীল দলের অনেক প্রভাবশালী শিক্ষক। তারা সরকারের উচ্চ মহলে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে জোর তদবির করছেন বলে জানা গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন