ঢাবিতে সামিয়া রহমান অবসরে যেতে পারবেন ১১ লাখ টাকা পাওনা শোধ করে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান চাকরি থেকে আগাম অবসরের আবেদন করেছেন। দেনা-পাওনা সমন্বয় সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা সিন্ডিকেট তার আগাম অবসরের অনুমতি প্রদান করেছে।
গত ৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে তাকে চিঠি দেওয়া হয়। বুধবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমের কাছে আসা ওই চিঠির অনুলিপি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রিয় মহোদয়া, আপনার ৩১-০৩-২০২২ তারিখের পত্রের বরাতে এবং ২৬-০৪-২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে জানানো যাচ্ছে যে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আপনাকে দেনা-পাওনা সমন্বয় সাপেক্ষে ১৫-১১-২০২১ তারিখ হতে বিধি মোতাবেক আগাম অবসর (আর্লি রিটায়ারমেন্ট) গ্রহণের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের ২৬-০৪-২০২২ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার নিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তার দেনা-পাওনার একটি হিসাব উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘হিসাব পরিচালকের দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী আপনার দেনা-পাওনা: মূল বেতন ৬,০৭,৫৭৪ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩, ০৩, ৭৮৭ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১২,৮০০ টাকা, গবেষণা ভাতা ৪২,৬৬৭ টাকা, অফ ক্যাম্পাস ভাড়া ৮,৫৩৩ টাকা, বৈশাখী ভাতা ১৪,২৪০ টাকা, উৎসব ভাতা ১,৪২, ৪০০ টাকা, মোবাইল ভাতা ৯,৬০০ টাকা। মোট ১১ লাখ ৪১, হাজার ৬০১ টাকা (এগার লাখ একচল্লিশ হাজার ছয় শত এক টাকা মাত্র)।আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ড-এ সুদসহ জমাকৃত টাকার পরিমাণ ১৬,৫৮,২১৬ টাকা (ষোল লাখ আটান্ন হাজার দুইশত ষোল টাকা)।’
চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট তার দেনা ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা পরিশোধ করার জন্য তাকে অনুরাধ করা হয়। জমা শেষে তার রশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
সামিয়া রহমান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। গত মার্চ মাসের শেষদিন তিনি আগাম অবসরের আবেদন করেন। সে আবেদন অনুযায়ী তাকে ১৫ নভেম্বর ২০২১ থেকে দেনা-পাওনা সমন্বয় সাপেক্ষে আগাম অবসরের অনুমতি প্রদান করে সিন্ডিকেট।
গত ২৮ জানুয়ারি ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় গবেষণা জালিয়াতির দায়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমানের পদাবনতি করে ‘সহকারী অধ্যাপক’ করা হয়।
এরপর গত ৪ আগস্ট সামিয়া রহমানকে পদাবনতির সিন্ডিকেটের নেওয়া (প্রশাসনিক) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা ও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে সব ধরনের বিভাগীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন