তদন্তে গড়িমসি :খুলছে না জবি শিক্ষার্থী প্রত্যাশা আত্মহত্যার জট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার (২২) আত্মহত্যার প্রায় ৫ মাস অতিক্রান্ত হলেও পুলিশ এখনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেনি সুত্রাপুর থানা পুলিশ। এতে তার মৃত্যুর রহস্য জনমনে ধোঁয়াশা তৈরি করছে।

তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সূত্রাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা(আইও) জনাব আলমগীর হোসেন জানান, হাসপাতাল থেকে সুরতহাল রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় তদন্ত কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, সিআইডি কর্তৃক প্রত্যাশার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট দেরিতে আসায় তদন্ত প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হচ্ছে। তবে তিনি আশ্বাস দেন যে হাসপাতালের সুরতহাল রিপোর্ট ও সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্ট থানায় পৌঁছালে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এদিকে, প্রত্যাশা মজুমদারের বাবা প্রণব মজুমদারকে ফোনে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিবাদীপক্ষ প্রভাব খাটিয়ে সুরতহাল ও তদন্ত প্রতিবেদনে কালক্ষেপণ করতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারে একটি মেসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রত্যাশা মজুমদার। সূত্রাপুর থানায় দায়েরকৃত মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (FIR) অনুযায়ী, মো. ইয়াসিন মজুমদার (২৩) তাকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে প্রত্যাশা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ইয়াসিনও তাকে অনুসরণ করে এবং পাশের একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি নেয়। এরপর কৌশলে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

অভিযোগ রয়েছে, সম্পর্ক গড়ে তোলার পর ইয়াসিন মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিভিন্নভাবে প্রত্যাশাকে অপমান, অপদস্ত ও মানসিকভাবে নিপীড়ন করতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান শেষে মেসে ফেরার পর আবারও তাকে অপমান ও মানসিকভাবে চাপে ফেলে। একপর্যায়ে প্রত্যাশা মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে রুমে দরজা আটকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।