তাকসিম খানকে ঘিরে দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে -স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম খানের চুক্তির মেয়াদ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। ১২ বছর ধরে তিনি একটার পর একটা চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছেন।
এই তথ্যগুলোয়, ছবি-সহ তার দুর্নীতির চিত্র, এমনকি তার চেহারাও মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে গেছে। তার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। তাকে ঘিরে যে দুর্নীতি চক্র গড়ে উঠেছে, সেই চক্র এখনো ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় আছে। চক্রটির সাথে জড়িত কেউ কেউ এখনও সক্রিয় আছে কিংবা লুকিয়ে আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আজ সচিবালয় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এ. এফ. হাসান আরিফ বলেন, যেখানে একটি বড় বাজেট বরাদ্দ থাকে এবং কর্মকাণ্ড থাকে সেখানে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। দুর্নীতির পথ খুলে যায়৷ সে জায়গাগুলো বন্ধ করা আমাদের জন্য একান্ত জরুরি। যারা সরাসরি দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব৷
তিনি বলেন, এখন থেকে দুর্নীতির কোনো খবর থাকলে সেটি আমার নজরে নিয়ে আসবেন৷ অন্তত মূলনীতিটি যদি আমরা ঠিক করে দিয়ে যেতে পারি এবং সে ধারাবাহিকতায় চললে তাহলে বিশ্বাস আগামীতে দুর্নীতি কমে আসবে৷ যদি আমরা ন্যায়-নীতি ঠিক করতে পারি দুর্নীতির এই জায়গাটা অনেকটা সীমিত হয়ে যাবে৷ আমাদের সামনে অনেক বড় কাজ। অনেক দিনের জঞ্জাল জমে আছে৷ এটা এক-দুই দিনে ঠিক হবে না৷ সবার সহযোগিতা থাকলে এটা ধাপে ধাপে সমাধান হবে৷
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের কাজের গতিশীলতা আনতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতের সাথে নিবিড় সমন্বয় প্রয়োজন। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন থেকে ডেঙ্গুর বিষয়ে যারা কাজ করছেন তাদের সাথে আমরা বসবো। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের যথাযথ প্রিভেনটিভ ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। মাঝখানে যেহেতু একটা বিরতি ছিল। অনেক এলাকাতেই মেয়র নেই৷ সিটি কর্পোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে৷ প্রয়োজন অনুযায়ী তিনি ব্যবস্থা নিবেন। সিটি কর্পোরেশন থেকে ডেঙ্গুর বিষয়ে যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে বসবো, এখানে গণমাধ্যমের বিশেষ অবদান আছে৷
সিটি কর্পোরেশন থেকে না হয় বিভিন্ন ডোবা-নালায় ঔষধ ছিটানো হলো, কিন্তু বাসা বাড়ির ছাদে, ফুলের টবে যে পানি জমে তা প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা দরকার। এই সচেতনতার বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন