থাইল্যান্ডের ‘কারওয়ান বাজার’
রেললাইনের দু’পাশে থরে থরে কাঁচামালের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। একেবারে লাইন ঘেঁষে সারিবদ্ধ দোকান। রেললাইনের পাশ ধরে পথচারীরা হেঁটে যাবেন সে স্থানটুকুও নেই। এরই মধ্যে চলছে দর কষাকষি। তবে ট্রেনের হুইসেল শুনলেই শুরু হুড়োহুড়ি। ট্রেন চলে গেলে আবারও আগের অবস্থা। এটা রাজধানীর কারওয়ান বাজারের দৃশ্য। তবে এমনই দৃশ্য চোখে পড়বে থাইল্যান্ডের সামুথ সংখরাম প্রদেশের মায়েকলং রেলওয়ে স্টেশনে।
মায়েকলং রেলওয়ে স্টেশনটি ব্যাংকক শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে। এ রেলওয়ে স্টেশনটির বিশেষত্ব হলো এখানকার ভাসমান বাজার যা ‘ফোল্ডিং আমব্রেলা বাজার’ নামে পরিচিত। রেললাইনের উভয় পাশে ১০০ মিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এ বাজার।
বাজারটিতে রয়েছে সবধরনের পণ্যের সমাহার। মাছ, মাংস, শাক-সবজি, চাল-ডাল, ফলমূলসহ সব ধরনের পণ্য পাওয়া যাবে এখানে। বাজারটি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। তবে মজার দৃশ্য চোখে পড়ে যখন ট্রেনের হুইসেল শোনা যায়। হুইসেল শোনামাত্র ছাতা গুটানো শুরু করেন বিক্রেতারা। ট্রেন চলে গেলে ছাতাগুলো আবার প্রসারিত হয়ে আগের জায়গা জুড়ে নেয়। আবার ট্রেন আসলেও সহজেই সঙ্কোচিত করা যায়।
তবে পর্যটকদের কাছে বাজারটি বেশ চমকপ্রদ হলেও বিশ্বের বিপজ্জনক ভাসমান বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। ট্রেন চলাচলের কারণেই মূলত বাজারটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে গণ্য করা হয়ে থাকে।
থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষের মতে, সকাল ৬টা ২০ মিনিট থেকে বিকেলে ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত দিনে আটবার এ দৃশ্য চোখে পড়বে। এখানকার আরেকটি দর্শনীয় জায়গা আম্ফায়া ভাসমান বাজার যা প্রতি শুক্র থেকে রোববার বসে। দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে এ বাজার।
সূত্র: সিএনএন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন