দীর্ঘ যানজটে উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ, ভাঙাচোরা সড়ক ও দুর্ঘটনার কারণে যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। এতে দুর্ভোগে নাকাল হচ্ছেন উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা।
উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের প্রধান এই পথটিতে চার লেনের কাজ চলছে। আবার গত এপ্রিল থেকে টানা বৃষ্টিতে সড়কের এখানে সেখানে তৈরি হয়েছে গর্ত। ঈদের আগে মেরামতের কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহনের চাপে। আবার ঈদুল ফিতরের আগে গাড়ির চাপ প্রধানত একমুখী হলেও কোরবানির ঈদের আগে ঢাকামুখী পশুবাহী গাড়ির চাপ থাকে বলে যানজট পরিস্থিতি বরাবরই থাকে উদ্বেগজনক।
চলতি বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তৈরি হওয়া গর্তগুলো আগেভাগেই দুশ্চিন্তার কারণ ছিল। আর গত কয়েক দিন ধরেই প্রতিদিনই গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এখানে সেখানে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ভোরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। কয়েকটি স্থানে ফেঁসে যায় গাড়ি। এছাড়া রাতের বৃষ্টি, চারলেনের কাজ চলা, পশুবাহী ট্রাকসহ যানবাহনের বাড়তি চাপের কারণে সকাল থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কের কোনাবাড়ি ,মৌচাক, সফিপুর, চন্দ্রা ও কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকা ও মির্জাপুর অংশে যানবাহনের লম্বা সারি দেখা গেছে। এতে থেমে থেমে ধীরগতিতে চলছে সব যান। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকা থেকে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা।
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে যানজট। মহাসড়কের খানাখন্দ ও গাড়ির চাপ থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক খবীর মিয়া জানান, তিনি ভোর রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে রওনা হয়েছেন। যানজট এবং ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে চার ঘন্টা দেরিতে কালিয়াকৈর এসে পৌঁছেন।
টাঙ্গাইলগামী বাস যাত্রী লিয়াকত আলী বলেন, ‘যানজট আর মহাসড়কের বেহাল দশায় আমাদের আসলে দেখার কেউ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আর কত বাসে বসে থাকা যায়? অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ভ্যাঁপসা গরম আর দুর্বিসহ যানজটে শিশু ও নারীরা বেশি নাকাল হচ্ছেন।’
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ১২ শ পুলিশ সদস্য কাজ করবে। এছাড়া অর্ধশত টহল টিম, ওয়াচ টাওয়ার ও দুটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে।
পুলিশ সদস্যদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ঈদের দিন পর্যন্ত প্রতিটি পুলিশ সদস্য রাস্তায় থেকে যানজট নিরসনে কাজ করবে। পাশাপাশি কোরবানির হাটে মলম পার্টি, জাল টাকার চক্র যেন কোন তৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সজাগ আছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন