দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন যারা
লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বিশ্বকাপের পর্দা উঠতে আর মাত্র ৫ দিন বাকি। আগামী ৩০ মে পর্দা উঠতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১২তম আসরের।
আসলে ক্রিকেটে সব সময়ই বিস্ময় থাকে, যা খেলাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করতে উন্মূখ থাকেন যে কোনও খেলোয়াড়। খেলতে পেলে সেটাকে পরম পাওয়া মনে করেন তারা।
ক্রিকেটে কিছু খেলোয়াড় আছেন যারা দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা সৌভাগ্যের বিষয়। এ তালিকায় চারজন খেলোয়াড় আছেন যারা ভিন্ন দুই দেশের হয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলেছেন।
ইয়ন মরগান
আয়ারল্যান্ডের হয়ে একসময় খেলতেন ইয়ন মরগান। ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে আইরিশদের হয়ে খেলেন তিনি। পরের বিশ্বকাপ ২০১১ থেকে খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। এবার ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
হতাশাজনকভাবে ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর তার অধীনেই দলটির এতটাই উন্নতি হয়েছে যে, এবারের আসরে তারা ফেবারিট। আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া এ ক্রিকেটারের অধীনে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ব্রিটিশরা।
এড জয়েস
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার পদচারণা খুব বেশি নয়। বাঁ-হাতি এ ব্যাটসম্যান আয়ারল্যান্ডের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণের আগে বেশ কিছু দিন জন্মের দেশের হয়ে খেলেছেন। যোগ্যতা বলে ইংল্যান্ড দলে ঠাঁই করে নেন। ইংলিশদের হয়ে ২০০৭ বিশ্বকাপে অংশ নেন তিনি। পরে ফের আয়ারল্যান্ডে ফেরেন তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপে ছোট দেশটির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। গত বছরের মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান।
এন্ডারসন কামিন্স
অলরাউন্ডার এন্ডারসন কমিন্সের ক্যারিয়ার শুরু হয় উইন্ডিজের হয়ে। ১৯৯০ দশকের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি। এমনকি ১৯৯২ বিশ্বকাপে ক্যারিবীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি।
ক্যারিবীয় দল থেকে অবসর নেওয়ার পরই তিনি কানায় পাড়ি জমান এবং পুনরায় খেলা শুরু করেন। ৪০ বছর বয়সী একজন অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করা কামিন্স ২০০৭ বিশ্বকাপে কানাডার জার্সি গায়ে চাপান।
কেপলার ওয়েসেলস
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া কেপলার ওয়েসেলস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে অজিদের হয়ে অংশ নেন তিনি। ১৯৯১ সালে স্বদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়ে খেলা শুরু করেন। ১৯৯২ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের নেতৃত্ব দেন তিনি। অল্পের জন্য ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় প্রোটিয়ারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন