দুই মামলায় বিএনপির ২৯ নেতাকর্মী রিমান্ডে
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংর্ঘের ঘটনায় দায়ের করা পুলিশের মামলায় বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীর দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন শরিফ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, ওবায়দুল্লাহ নাঈম, নাদিম হোসেন, আব্দুর রশিদ, হোসেন মিয়া, আলামিন মোল্লা, মিল্টন শেখ, সানোয়ার, জহির, রুবেল, এবাদুল, হামিদুল ইসলাম, মহসিন, জাকির হোসেন, পারভেজ রেজা, খন্দকার মুজাহিদুল ইসলাম, সওগাতুল ইসলাম, মিনহাজুল হক নয়ন, শওকত উল ইসলাম, সজীব, শামীম রেজা, শাওন জমাদ্দার, ইমন শেখ, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ, রহমান রানা, মোস্তফা, মাহমুদুল হাসান ওরফে মাকসুদুল হাসান ও পলাশ মিয়া।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিদের মধ্যে প্রথম ১৩ জন রমনা থানার এক মামলার এবং পরের ১৬ জন শাহবাগ থানার আরেক মামলার আসামি।
আসামিদের মধ্যে শাহবাগ থানার মামলায় ১৬ আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গোলাম হোসেন খান। রমনা থানার মামলায় ১৩ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড চান এসআই সহিদুল ওসমান মাসুম।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট হোসেন আলী খান হাসানসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডা ও সংর্ঘ হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে একপর্যায়ে তা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নিয়ে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন