দূতাবাস কর্মকর্তাকে দায়ী করে সৌদিফেরত গৃহকর্মীর আত্মহত্যাচেষ্টা

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টয়লেটে সৌদিতে নির্যাতনের শিকার এক গৃহকর্মী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আত্মহত্যা চেষ্টার অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি সৌদির বাংলাদেশের দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই নারীর বাসা সাভারের জিরানিতে।

ঢামেকে চিকিৎসা শেষে মেয়েটি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কীটনাশক পান করেছি। আমার আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ একটি কাগজে লিখেছি।’

চিঠিতে তিনি লোকমান, গোলাম, ফাহাদ ও মেহেদীর নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও সৌদির দূতাবাসের সেফ হোমে থাকা গৃহকর্মীদের বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ওই তরুণী জানান, ২০১৬ সালের ১৭ মার্চ তিনি সৌদি যান। সেখান থেকে গত ২৮ জুলাই দেশে ফেরেন তিনি। সেদিন তার লাগেজ না পাওয়ায় মঙ্গলবার আবারও বিমানবন্দর আসেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও লাগেজ পাননি তিনি।

তিনি জানান, সৌদি গিয়ে সেখানে এক বাসায় কাজ করে আট মাস বেতন না পেয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের শরণাপন্ন হন। সেখানে লোকমান নামে এক স্টাফ তাকে সহযোগিতা করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কও করে।

বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন্স) মুক্তারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢামেকে চিকিৎসা শেষে ব্র্যাক ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জিম্মায় তাকে সেফ হোমে রাখা হয়েছে।