দৃশ্যমান হওয়ার পথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতুর সুপার স্ট্রাকচার বা স্প্যান পিলারের ওপর স্থাপনের মাধ্যমেই শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে দৃশ্যমান হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু। সব কিছু অনুকূলে থাকলে ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর স্থাপন করা হবে সুপার স্ট্রাকচার।

সুপার স্ট্রাকচার পিলারের ওপর স্থাপন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাজিরা প্রান্তে আসবেন বলে আশাবাদী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা নাসির টিপু বলেন, ‘২ অক্টোবর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেতুর সুপার স্ট্রাকচার স্থাপন এলাকা পরিদর্শন করতে জাজিরা প্রান্তে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তিনি সুপার স্ট্রাকচার স্থাপনকাজ পরিদর্শন করবেন এবং বিশ্ববাসীর কাছে তা তুলে ধরবেন বলে আমরা আশাবাদী।’

পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্পের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। পদ্মা সেতু প্রকল্প সারা বিশ্বের কাছে একটি মাইলফলক। কর্মরত প্রকৌশলীরাও খুব আনন্দিত তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং মেধার কারণে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়ার পথে। কর্মরত সবাই এর অংশ হিসেবে থাকতে পেরে গর্বিত মনে করছেন। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিলারের ওপর সুপার স্ট্রাকচার স্থাপন করা হবে।’

পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার মাওয়া প্রান্ত থেকে সুপার স্ট্রাকচার ভাসমান ক্রেনে করে জাজিরা প্রান্তে নেওয়া হয়। এখন সুপার স্ট্রাকচার বসানোর আগে বেয়ারিংয়ের কাজ চলছে। বেয়ারিং সেতুর ভূকম্পন রোধ করে এবং ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে থাকে। এরই মধ্যে পিলারের ওপর যে সুপার স্ট্রাকচার বসানো হবে তার কাজও শেষ। পিলার দুটির কংক্রিটের শক্তি ৫০ মেগা প্যাসকেল অর্জন করলেই তাঁর ওপর সুপার স্ট্রাকচার বসানো হবে। এ ছাড়া এখন পিলারের শাটারিং খোলার কাজ চলছে। সুপার স্ট্রাকচার বহনকারী ভাসমান ক্রেন ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলার এলাকায় আসতে গভীরতা প্রয়োজন, তাই ড্রেজিং করা হচ্ছে।