দেনা শোধ না করায় শ্রমিককে গাছে বেঁধে নির্যাতন
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে দেনার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় নজমুদ্দিন (৫০) নামে এক শ্রমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে ২ ঘণ্টা শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার রাতে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্রমিক নজমুদ্দিন উপজেলার নুরপুর গ্রামের মুত দিলকুশ মিয়ার ছেলে।
নির্যাতিত শ্রমিক নজমুদ্দিনের পরিবার জানায়, নজমুদ্দিন নোয়াখালী বাজারস্থ বরুণ রায়ের মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। পরিবারের অভাবের কারণে বেশ কিছু দিন আগে তিনি মিলমালিকের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ধার নেন।
রোববার সন্ধ্যায় দেনার টাকা পরিশোধের জন্য মিলমালিকের পক্ষ থেকে উপজেলার নুরপুর গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া নজমুদ্দিনকে চাপ দেয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সুজন, তার বাবা কবির উদ্দিন, ভাই নানু মিয়া, চাচাতো ভাই মাহতাব উদ্দিন, রুমেল আহমদ সংঘবদ্ধ হয়ে নজমুদ্দিনকে একটি গাছের সঙ্গে ২ ঘণ্টা হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটায়।
পরে একই এলাকার আজিজুর রহমান গ্রামবাসীকে নিয়ে আহত নজমুদ্দিনকে উদ্ধার করে তার বাড়ি পৌঁছে দেন। এর পর সুজন ও তার পরিবারের লোকজন নজমুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর ফের হামলা করে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে। রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নজমুদ্দিনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ও হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন সুজন মিয়া। তিনি বলেন, নির্যাতন বা হামলার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। শুধু টাকা পরিশোধ করা নিয়ে নজমুদ্দিনের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী সোমবার জানান, লোকমুখে শ্রমিক নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আইনিব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন