ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কোনালের গান

একটা অপরিচ্ছন্ন পুকুরে ভাসছে অনেকগুলো রঙিন পুতুল। অথচ এই পুতুলগুলোর থাকার কথা ছিল কোনো সুন্দর পরিবেশে। ভয়ে ভরা চোখ নিয়ে পুকুর থেকে উঠে আসলো এক কিশোরী। মাটি ফুঁড়ে বের হয়ে আছে অনেকগুলো হাত, খাঁচার ভেতর বন্দী হয়ে আছে এক কিশোরী, রশিতে পেঁচানো দেহ, যার মুখ একটা ফুটন্ত সূর্যমুখী ফুল। এমন নানা প্রতিকী দৃশ্যের মিলন ঘটেছে সোমনুর মনির কোনালের গাওয়া একটি রবীন্দ্রসংগীতের ভিডিওতে। ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানটি কবিগুরুর জন্মদিনে নতুন আয়োজনে প্রকাশ হয়েছে ইউটিউবে।

তবে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতেই এই ভিডিও তৈরি করেছেন বলে জানালেন শিল্পী কোনাল। ভিডিওর কনসেপ্টটিও তার। কোনাল বলেন,‘শিল্পী শুধু শিল্পী নন, তিনি কিন্তু এই বার্তাবাহক—আমি সবসময় তাই মনে করেছি।একজন শিল্পীর দায়িত্ব, কর্তব্য, কার্যভার—সাধারণ যে কারো চেয়ে বিশাল! চারিদিকে যা ঘটছে, তা দেখে, শুনে, মুখ বুজে বসে আছি সবাই, ফেসবুকে নিউজ শেয়ার দিচ্ছি আর প্রতিনিয়ত ভাবছি দেশটা রসাতলে গেল! কিন্তু করছি কি? করা উচিত নয় কি?’

কোনাল আরও বলেন,‘একজন শিল্পীর গান শুধু দর্শক নাচাতে কেন হবে? দর্শককে ভাবতেও হবে! তাই গান গেয়ে ফেললাম। এর চেয়ে সঠিক গান আর কী হতে পারে? তাঁর জন্মদিনের চেয়ে আর সঠিক দিনইবা কি হতে পারে? তাই এই গান, আমার নিবেদন। আশা করি কিছুটা হলেও সাহস যোগাবে আমাদের এই গান, শপথ হবে আমাদের এই গান, মন্ত্র হবে আমাদের এই গান—সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে। নারী তুমি এগিয়ে যাও! আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা জ্বলো রে । যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে!’

কবিগুরুর এ গানটির নতুনভাবে সংগীতায়োজন করেছেন নির্ঝর চৌধুরী ও শাহরিয়ার আলম মার্সেল। ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন তানহা জাফরীন।