ধানের শীষে ভোট চাইলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার নিজ দলের প্রতীক ধানের শীষে ভোট চাইলেন। বেগম জিয়া বলেন, আগামী নির্বাচনে আ’লীগকে জনগণ চুরি করে ক্ষমতায় বসতে দেবে না। একতরফা কোনো ইলেকশন করতে দেওয়া হবে না। এবার নির্বাচন হবে সকলের অংশগ্রহণে। হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। বেগম জিয়া বলেন, সামনে আসছে শুভ দিন, ধানের শীষে ভোট দিন।
রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) বুধবার ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘আ’লীগ সরকার নির্বাচনকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। তারা ভাবছে আগামী নির্বাচনে চুরি করে ক্ষমতায় বসবে। না, তাদেরকে এবার চুরি করে ক্ষমতায় বসতে দেবে না জনগণ। এবার আ’লীগকে একতরফা ইলেকশন করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ বুঝে গেছে হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন কেমন হয়। সেজন্য হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে সহায়ক সরকারের অধীনে। যেখানে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। সেখানে ইনশাহআল্লাহ এই চোর, লুটেরা, খুনি, জনগণের হত্যাকারী, মা-বোনদের নির্যাতনকারী সরকারকে জনগণ প্রত্যাখান করবে। তাদের পরিণতি কি দাঁড়ায় তা সেদিন তারা (আ’লীগ) দেখে নিতে পারবে।
খালেদা জিয়া বলেন, একদিকে আ’লীগ দেশ থেকে অর্থ পাচার করছে অরেকদিকে মানুষ গুম, খুন, মামলা, হামলা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছে। তারা ভেবেছে পুলিশ দিয়ে দেশের মানুষকে দমন করে রাখবে। কিন্তু এটা কোনোদিনই কেউ পারেনি, এরাও পারবে না। পুলিশ দিয়ে এ দেশের মানুষকে দমন করে রাখা যাবে না।
এ সময় আ’লীগ সরকারের হাত থেকে দেশকে বাচাতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বেগম জিয়া।
পুলিশদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের সেবক। আপনাদের কাজ হল জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া। আপনারা ঠিক থাকেন, জনগণের পাশে থাকেন। আ’লীগের গুণ্ডা-সন্ত্রাসীদের দেখে ভয় পাবেন না। আপনারা ভবিষ্যতে ভালো থাকবেন, আপনাদের জন্য আমাদের অনেক কর্মসূচি রয়েছে।
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের টিম সেখানে পাঠানোর জন্য। কিন্তু সেই জায়গায় যাওয়ারা মত পরিবেশ নেই। সেখানে বহু লোক মারা গেছে, সেনাবাহিনীর লোক মারা গেছে। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের যেন সুচিকিৎসা করা হয় এবং ঠিকমত উদ্ধার অভিযান চালানো হয় সেই আহ্বান জানাচ্ছি।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপাররসের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, মহানগর দক্ষিন সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান, সহসভাপতি আব্দুল আলী নকি, মো. সাহাবুদ্দিনসহ উত্তরের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ইফতার করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, আতাউর রহমান ঢালী, ফরহাদ হালিম ডোনার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সানাউল্লাহ মিয়া, নুরী আরা সাফা, আমিনুল হক, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, হাফেজ এম এ মালেক, শাহ নেসারুল হক, উত্তরের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আতিকুল ইসলাম মতিন, মাসুদ খান, নবী সোলায়মান, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আবুল হোসেন, আবুল হাশেম, শাহিনুর আলম মারফত, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, এজিএম শামসুল হক, কফিলউদ্দিন আহমেদ, শামীম পারভেজ, দক্ষিনের কাজী আবুল বাশার, ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন প্রমূখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন