ধেয়ে আসছে ‘মোরা’, বাংলাদেশের সাহায়তায় প্রস্তুত ভারতীয় নৌ-বাহিনী
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি গতকাল রোববার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। নাম দেয়া হয়েছে ‘মোরা’। ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে এ ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে বাংলাদেশের তীরবর্তী সাগর হয়ে উঠেছে উত্তাল। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরা পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের এলাকাগুলো থেকে কিছুটা উত্তর দিকে এগিয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। মঙ্গলবার সকালে এটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সোমবার ভারতীয় নৌ-বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সে দেশের নৌ-বাহিনীর পূর্বাঞ্চল বহরের জাহাজগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদি বাংলাদেশের সহায়তার প্রয়োজন হয় তবেই তারা আসবে।
বাতাসংস্থা এএনআই বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোরা। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এরই মধ্যে দেশের অনেক স্থানেই ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে সাড়ে প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে চট্টগ্রামের চিকিৎসক, নার্সদের ছুটি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন