নওগাঁর পত্নীতলায় লকডাউনের ২য় দিনেও কঠোর প্রশাসন, করোনা ও উপসর্গ ৬ জনের মৃত্যু

নওগাঁর পত্নীতলায় লকডাউনের ২য় দিন শুক্রবারও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। এদিকে গত ২দিনে ৩জন করোনা ও ৩জন উপসর্গ নিয়ে মোট ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। সকলকে সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারা দেশে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের ২য় দিনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পত্নীতলা উপজেলা প্রশাসন। লকডাউনের ২য় দিনেও যানশুন্য শহরে জন চলাচলও ছিল সীমিত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিটন সরকারের নেতৃত্বে লকডাউনের ২য় দিন শুক্রবার জনগণকে লকডাউন মানাতে যথেষ্ট তৎপর ছিল প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পথে পথে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। জরুরি কাজে কেউ বের হলেও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতায় উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা সহ সব যায়গায় মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনীয় দোকানপাট ছাড়া অন্য কোন দোকানপাট খোলা ছিলনা। তবে এলাকার বিভিন্ন মসজিদ গুলোতে মুসল্লিদের উপস্থিতি কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। আর কাঁচা বাজারে লেবু, শসা সহ অন্যান্য সব্জির দাম বেড়েই চলেছে।

অপরদিকে পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখা, বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে ঘোরাফেরা এবং মাস্ক পরিধান না করার অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা সুলতানা। এসময় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন হয়ে সরকারি নির্দেশনা পালনের আহবান জানান তিনি।

এদিকে গত ২দিনে নজিপুর পৌরসভার নতুনহাট হরিরামপুর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর রহমান ও উপজেলার শিহাড়া ইউপির কলাপাকা গ্রামের ছাবেদ আলী ও আবাদপুর গ্রামের রেখা নামে ৩জন করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার পৌরসভার ঈদগাহ পাড়া এলাকার ডাঃ ভূপেন্দ্রনাথ ঘোষের স্ত্রী অনিতা ঘোষ এবং বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে পত্নীতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পত্নীতলা ফুটবল মাঠ এলাকার আজিজুল ইসলাম ও পৌরসভার মাহমুদপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক অপূর্ব চন্দ্র মন্ডল মারা যান বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ এসএম খালিদ সাইফুল্লাহ ৩জন করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে যারা মারা গেছেন তাদের মৃত্যুরপর পরীক্ষা করা হলে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও তাদের সবারই করোনা উপসর্গ জ্বর, কাশি ছিল। তবে তাদের পরীক্ষা গুলো মৃত্যুর ৩ঘন্টা পর হওয়ায় রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এসময় তিনি সকলকে সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিটন সরকার জানান, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রশাসন পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে সাধারন মানুষকে লকডাউন মানাতে তৎপর রয়েছে।