"সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চেয়ে সংবাদ সন্মেলন "
নওগাঁর বদলগাছী থানায় মামলা না নেওয়ায় কোর্টে মামলা করলো নিহত সেতুর ভাই

বোন সেতু আক্তার আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত ও বিচার চেয়ে সংবাদ সংবাদ সন্মেলন।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৫.০০ টায় বদলগাছীর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সন্মেলনে বক্তব্য রাখেন নিহত সেতু আক্তারের ভাই মুশফিকুর, তিনি বলেন গত বৃহস্পতিবার ৩রা জুলাই আমার বোন মারা যায় সে বিষয়ে কথা বলার জন্য এখানে এসেছি। গত দেড় বছর আগে চাংলা গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র রায়হান রনির সাথে আমার ছোট বোন সেতু আক্তারের বিয়ে হয়।
তাদের একটু প্রেমের সম্পর্ক ছিলো সেটা আসলে জানাজানি হয় তাই পারিবারিক ভাবে বিয়েটি মেনে নেই। ১বছর ঠিকঠাক ভাবেই সংসার চলছিলো। ১বছর পর আমার বোনের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার যৌতুকের চাহিদায় আমার বোনকে এই রায়হান রনি এবং তার মা অত্যাচার শুরু করে, বোন আমাদের কে এই বিষয়ে অবগত করলে আমরা বোনকে বুঝাই ব্যাপারটা এবং সংসার করার পরামর্শ দেয়।
ঘটনার দিন গত ৩ই জুলাই বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি আমার বোন খুবই অসুস্থ। খবর পেয়ে আমরা এসে দেখি আমার বোনের শয়নঘরে আমার বোনের মরদেহ পড়ে আছে। ঘাতক রায়হান রনি ও তার মা সেই সময় পলাতক।
পুলিশ আমাদেরকে বলে আপনারা শান্ত হোন, আমরা সঠিক তদন্ত করবো এই মুহূর্তে আপনারা থানায় চলেন মৃতদেহের পোস্টমর্টেম করতে হবে। পুলিশ বলার পর আমরা থানায় যাই মরদেহ নিয়ে। তারপর মেঝ ভাইয়ের আইডি কার্ড দিয়ে পোস্টমর্টেমের জন্য সই নেয়। সেই সময় আসলে মেন্টালি খুবই খারাপ অবস্থায় ছিলাম, কোথায় কিভাবে কি করতেছে আমরা আসলে বোঝার মতো ইয়ে ছিলো না।
পুলিশ আমাদের বলে পোস্টমর্টেম করতে হবে এই সাদা কাগজে সই দেন,সেজন্য আমাদের মেঝো ভাই সেখানে সই করে।সেখান থেকে আমাদের পাঠিয়ে দেয় নওগাঁ সদর হাসপাতালে পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ নিয়ে আমরা সেখানে যাই। পোস্টমর্টেম করবার পর লাশ নিয়ে আমরা ঠিক আসরের পরে বিকেল ৪টার দিকে বাসায় যাই এবং রাত ১০টার সময় দাফন করি।
পরের দিন আমরা যখন থানায় আসি আমরা বলি যে গতকাল আমরা ইয়ে মানে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম কোথায় কি করলাম আমরা দেখবো।
তা সে মুহূর্তে কেন পেপার্স আমাদের দেয় নি, যে এ রকম কোন পেপার্স দেওয়া যাবে না।
শনিবার যখন আমরা থানায় আসলাম আমাদের পেপার্স দেওয়া হলো সেই পেপার্স দেখে আমরা পুরাই আকাশ থেকে পড়ি যেটা আসলে আমরা সহ্য করতে পারি না। এই পেপার্সে তারা উল্লেখ করেছে যে গত তিন মাস যাবত পেট ব্যাথায় ভুকছিলো তারা আরও উল্লেখ করেছে আমার বোন পেট ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করবে বলে বলাবলি করতো। হঠাৎ করে জুলাই মাসের ৩ সে গলায় দরি দিয়েছে।
আমার বোনের যে পেটে ব্যাথা আমরা অবগত না পুলিশ এই কথা গুলো আসলে কোথায় পেয়েছিলো,কার থেকে শুনেছিলো?
এস আই মুনিরুলের কে আমরা প্রশ্ন করেছিলাম, স্যার এই কথা গুলো আপনারা কোথায় পেয়েছিলেন, এস আই মুনিরুল বলেছিলো গ্রামবাসীর থেকে শুনেছি। ওসি আনিছুর রহমান স্যার যে ভাবে বলেছে আমি আসলে সে ভাবে করেছি।
আমি দেশবাসীর কাছে সংবাদ সন্মেলন বা এই প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বলতে চাই, আমার বোনের সঠিক বিচার চাই। পুলিশ আমাদের থেকে কেন মামলা নেয় নি।থানার কাছে কোন হেল্প না পেয়ে আমরা কোর্টে গিয়েছি এবং কোর্টে এই বিষয়ে আমরা মামলা করি।
আসলে সমগ্র দেশবাসীর কাছে আমার একটাই প্রত্যাশা আমাদের পরিবারের একটা প্রত্যাশা আমরা সঠিক একটা বিচার চাই। আমার বোন যে মারা গেছে এটার সঠিক তদন্ত আমরা চাই। আমরা আসলে থানার কাছে খব বেশি উপকৃত হয়নি। এই জন্যই আমরা কের্টের দাড়ে আমরা গিয়েছি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন