নওগাঁর বদলগাছীর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়!

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার হাটে সরকারী নিয়ম- নীতি কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গায়ের জোরে ক্রেতা ও বিক্রেতা কৃষকদের নিকট থেকে অবৈধ্যভাবে টোল আদায় করছে হাট ইজারাদার। অপরদিকে ক্রেতা গন ৪২ কেজিতে মন হিসেবে পটল, বেগুন, আলু কাঁচামরিজসহ অন্যান্য সবজি ক্রয় করার অভিযোগ তুলেছে বিক্রেতা অসহায় কৃষক জনতা।
দেউলিয়ার গ্রামের কৃষক মো এমরান হোসেন বলেন, আমি বদলগাছী হাঁটে পটল বিক্রয় করতে যাই আগে পটল ৪১ কেজিতে মন নিয়েছে এখুন এসে ৪২ কেজিতে মন নিচ্ছে,এবং প্রতি মন পটল এর ২০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। আমি দিতে না চাইলে তারা গন্ডগোল করে জোর পূর্বক নেয়।
চকবনমালী গ্রামের কৃষক মো সোরওয়ার বলেন, আমি বেগুন বিক্রয় করিলে প্রতি মন ২০ টাকা করে খাজনা নেয়।
উক্ত হাট বাজারের বিভিন্ন স্থানে দৃশ্যমান জনজ্ঞার্থে টোল আদায়ের মূল্য তালিকা টাংগানো নিয়ম থাকিলেও কোন মূল্য তালিকা দেখা যায় না। যা হাটবাজার ইজারা নীতিমালা বহির্ভুত। তাছাড়াও সরকারি নিয়ম- নীতিকে উপেক্ষা করে পটল, বেগুন, মুলা, সিম, মনপ্রতি ২০ টাকা বিক্রেতার নিকট থেকে ক্রেতারা কেটে রেখে তার পর সবজির মুল্য দিয়ে থাকে এবং ক্রেতার নিকট থেকে মন প্রতি ২০ টাকা করে টোল আদায় করা হলেও টোল আদায় রশিদ দেওয়া হয়না বলে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভাষ্যে জানা গেছে।
ক্রেতা- বিক্রেতা কাছ থেকে মন প্রতি ৪০ টাকা খাজনা আদায় করে থাকে হাট ইজারাদার।
অসহায় কৃষকরা বলেন, প্রতি হাটে পটল, বেগুন আলু সহ অন্যান্য সবজি প্রতি হাটবারে ৪ থেকে ৫ মন পর্যন্ত হাটে কৃষকরা নিয়ে আসেন।
বিক্রেতা ও ক্রেতা সহ জনতার ভাষ্যে জানা যায়, ইজারাদার খাজনার টাকার বা কোন টোল আদায় রশিদ দেয় না।
অতিরিক্ত খাজনা আদায় বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানালে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনকভাবে নীরব বলেও কৃষক জনতার অভিমতে প্রকাশ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, কৃষকের কাছ থেকে খাজনা নেওয়া যাবে না। যে কোন এক পক্ষের নিকট থেকে খাজনা আদায় করতে পারবে।
তিনি আরো জানান, টোল রেট নিজেই হাটে উপস্থিত থেকে টাংগানোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















